বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমার থেকে মর্টারের গোলা ছোড়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘শক্তি অর্জন করতে হবে। এদিকে মর্টারের গোলা মারলে ওদিকেও যেন মর্টার যায়। সে ব্যবস্থা অবশ্যই হেড অব গভর্নমেন্টকে (সরকারপ্রধান) করতে হবে।’
আজ রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বার্মার (মিয়ানমার) সঙ্গে সমস্যার সমাধান এমনিতেই হবে না। প্রচণ্ড আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে যারা সম্পৃক্ত আছে, বিশেষ করে ভারত এবং চীন এই দুই দেশকে কনভিন্স (বোঝাতে হবে) করতে হবে।’ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে যেভাবে প্রতিবাদ হওয়া উচিত, সেভাবে সরকার প্রতিবাদ করছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, বিরোধী দল যাতে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সে জন্য মাঠ খালি করতে বিএনপির ওপর হামলা ও আক্রমণ করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও আক্রমণ করা হয়েছে। পুলিশ আইন মানছে না। তারা (পুলিশ) কথায় কথায় গুলি চালাচ্ছে।
নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির কর্মসূচিতে বিনা উসকানিতে সরকার অত্যাচার-নির্যাতনের চালিয়েছে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। সারা দেশে দলের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের দমন-পীড়নের চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, গত ৩১ জুলাই থেকে এসব কর্মসূচিতে বিএনপির তিন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই হাজারের বেশি নেতা-কর্মী। গ্রেপ্তার হয়েছেন ২০০ জনের বেশি নেতা-কর্মী। চার হাজারের বেশি বিএনপির নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার। ২০-২৫টি স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ৫০টি স্থানে বাড়িঘরে ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় টিকে থাকার একমাত্র মাধ্যম ভয় সৃষ্টি করা। আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চায়। বিএনপিকে সেদিকে নিতে না পারায় আওয়ামী লীগ মনঃকষ্টে ভুগছে।