নারী আসনে প্রথম দিন আওয়ামী লীগের বিক্রি হলো ৮১০টি ফরম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির প্রথম দিনে আজ মঙ্গলবার ৮১০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। এতে দলটির আয় হয়েছে ৪ কোটি ৫ লাখ টাকা।
সাধারণ আসনের মতো সংরক্ষিত আসনেও দলীয় ফরমের মূল্য ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে আওয়ামী লীগ। আগামীকাল বুধবার ও বৃহস্পতিবারও ফরম বিক্রি করা হবে।
সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০টি। ইতিমধ্যে ৬২ জন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাঁদের পক্ষ থেকে সংরক্ষিত আসনে সদস্য নির্বাচনের ক্ষমতা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়েছেন। ফলে আওয়ামী লীগ তাদের দলের এবং স্বতন্ত্রদের মিলে ৪৮ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য দিতে পারবে। বাকি দুটি আসনে নারী সংসদ সদস্য দিতে পারবে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
আজ সকাল ১০টা থেকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়, শেষ হয় বিকেল চারটায়। এই কার্যালয়ের বিভিন্ন তলায় বাকি সাত বিভাগের মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়।
বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রিসংক্রান্ত তথ্য জানান দলের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান। তিনি বলেন, প্রথম দিনে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ফরম বিক্রি হয়েছে ২৭৫টি। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪৯টি, সিলেট বিভাগে ২৬টি, রংপুরে ৭৫টি, বরিশালে ৫৬টি, খুলনায় ৭৭টি, রাজশাহীতে ৯০টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬২টি বিক্রি হয়েছে।
মনোনয়ন ফরম বিক্রি বাবদ প্রথম দিনে আওয়ামী লীগ ৪ কোটি ৫ লাখ টাকা আয় করেছে বলে জানিয়েছেন সায়েম খান। এই টাকা দলের হিসাবে জমা হয়েছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিনোদনজগতের তারকারাও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি অপু বিশ্বাস, নিপুন আক্তার, সোহানা সাবা ও তানভীন সুইটিও ফরম নিয়েছেন।
এদিকে মনোনয়ন ফরম বিক্রিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছিল উৎসবমুখর। মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের কর্মী–সমর্থক ও অনুসারীদের পদচারণে সরগরম ছিল দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। এই কার্যক্রম পরিদর্শন করতে দুপুরে কার্যালয় এসেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এর আগে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানানো হয়, মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কোনো প্রকার অতিরিক্ত লোকসমাগম ছাড়া প্রার্থী নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে। আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং ফটোকপির ওপর মুঠোফোন নম্বর ও সাংগঠনিক পরিচয় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।