অনুষ্ঠানে বক্তা শুধু তারেক রহমান, দুর্ভোগের জন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ বিএনপির

আজ বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ‘তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটি’র আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন আহমদছবি: প্রথম আলো

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শুধু তারেক রহমানই বক্তব্য দেবেন। সেখানে দ্বিতীয় কোনো বক্তা থাকবেন না বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এ আয়োজনে যে জনদুর্ভোগ হবে, তার জন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, এ আয়োজন যত ছোটই রাখতে চান না কেন, ১৭ বছর ধরে অপেক্ষমাণ দেশের সব প্রান্ত থেকে আসা নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের রাজধানীমুখী বাঁধ ভাঙা স্রোত নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তাঁদের নেই।

আজ বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ‘তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটি’র আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন আহমদ।

সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ফ্লাইট বুধবার মধ্যরাতে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হবে। বাংলাদেশ বিমানের এই নিয়মিত ফ্লাইটে তারেক রহমানের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যরাও থাকছেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের নেতা বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে লন্ডন থেকে বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে আগামীকাল সকালে সিলেটে যাত্রাবিরতির পর বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।’ ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
ফাইল ছবি

‘অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ’

জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে পারে—এমন কোনো কর্মসূচি তারেক রহমান চান না উল্লেখ করে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সে কারণে তিনি দেশের পথে যাত্রা করার সময় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে নেতা-কর্মীদের উপস্থিত হতে নিষেধ করেছেন।

বাংলাদেশেও জনদুর্ভোগ তৈরি করতে পারে, এমন কোনো কর্মসূচি না দিতে তারেক রহমান নির্দেশনা দিয়েছিলেন জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা তাঁর নির্দেশনা পালনের আন্তরিক শত চেষ্টার পরেও হয়তো শতভাগ প্রতিপালন করতে পারিনি। তারপরও জনদুর্ভোগের জন্য আমরা অগ্রিম ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশ করছি।’

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘তিনি (তারেক রহমান) স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন, তিনি বিমানবন্দর থেকে তাঁর চিকিৎসাধীন গুরুতর অসুস্থ মা বাংলাদেশের অভিভাবক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যেতে চান, তাঁর পিতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারতে যেতে চান, তাঁর ভাইয়ের (আরাফাত রহমান কোকো) কবরের পাশে যেতে চান। জনদুর্ভোগ পরিহার করতে তিনি সরকারি ছুটির দিনকে তাঁর প্রত্যাবর্তনের দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।’

ঢাকার ৩০০ ফুট সড়কের অনুষ্ঠানটি কোনো জনসভা নয়, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানও নয় বলে উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, কেবল দেশবাসীর প্রতি তাঁর (তারেক রহমান) আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং দেশনেত্রীসহ (খালেদা জিয়া) দেশের সবার কল্যাণ কামনায় দোয়ার অনুষ্ঠান। সেই আয়োজনে তিনি ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনো বক্তা থাকছেন না।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এই আয়োজনের কলেবর যত ছোটই রাখতে চাই না কেন, ১৭ বছর ধরে অপেক্ষমাণ দেশের সব প্রান্ত থেকে আসা নেতা–কর্মী–সমর্থকদের বাঁধ ভাঙা স্রোত নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আমাদের নেই। তারপরেও আমরা আমাদের কর্মী–সমর্থকদের নির্দেশনা দিয়েছি, যেন তাঁদের বেশির ভাগ কাঞ্চন ব্রিজ ব্যবহার করে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন।’

এদিকে গুলশান কার্যালয়ে বেলা দুইটার দিকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিলেট জেলার কোনো নেতা–কর্মী বিমানবন্দরে ভিড় করবেন না। ঢাকায় এলে ওনাকে নিয়ে আমরা যে আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছি, সেখানে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে কথা বলবেন।’

সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটির সদস্য মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল উপস্থিত ছিলেন।