বিএনপিকে পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ ওবায়দুল কাদেরের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরছবি: বাসস

আন্দোলনের কথা না ভেবে বিএনপিকে এখন থেকেই পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের যৌথ সভায় এমন পরামর্শ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

বিজয় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন করবে, দলটির মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগার থেকে বের হয়ে আবার দিবাস্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়েছেন।

সাড়ে তিন মাস কারাভোগের পর জামিনে গতকাল বৃহস্পতিবার মুক্তি পান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল। কারামুক্তির পর তিনি গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকলে আন্দোলনের বস্তুগত পরিস্থিতি খুঁজে পাওয়া যায় না। জনগণের সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে আন্দোলনের ইস্যু খুঁজে পাওয়া যায় না। এই বিষয় বিএনপির হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া উচিত।

যৌথ সভায় প্রারম্ভিক বক্তব্যে জার্মানিতে নিরাপত্তা সম্মেলনে বাংলাদেশের উপস্থিতি নিয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য বিরাট সম্মান বয়ে এনেছেন। আজকে গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশের গুরুত্ব নিঃসংকোচে মেনে নিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থানটা আমাদের শত্রুতার জন্য অনেকের উর্বর ক্ষেত্র। বঙ্গোপসাগর, সেন্ট মার্টিনের প্রতি লোভাতুর দৃষ্টি অনেক বাজপাখির রয়েছে। তবে শেখ হাসিনার সরকার ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি সাফল্যের দিকে নিয়ে গেছেন।’

দলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি নতুন করে গঠনসহ অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটাতে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের দলীয় সভাপতির নির্দেশনার কথা জানান সেতুমন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন শাখার সম্মেলন, সহযোগী সংগঠনের প্রতিটির অসমাপ্ত সম্মেলন, কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় বিলম্বসহ সাংগঠনিক সমস্যার সমাধান করা জরুরি। বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা সব শাখাকে ঢাকায় ডেকে বসতে পারেন। সমস্যা ও বিরোধ থাকলে তা সমাধানে অনতিবিলম্বে কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।