কমনওয়েলথ মহাসচিবের বক্তব্যে গণতন্ত্রকামী মানুষ আহত: বিএনপি
নির্বাচনে সহায়ক পরিবেশে নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়ে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাটিসিয়া স্কটল্যান্ডের দেওয়া বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। শনিবার রাতে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক বিবৃতিতে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, কমনওয়েলথ মহাসচিবের বক্তব্য বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, কমনওয়েলথ ৫ জানুয়ারি এক বিবৃতি দিয়েছে। যখন জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একটি ‘ডামি নির্বাচন’ হতে যাচ্ছে, তখন কমনওয়েলথ মহাসচিব ‘একটি সহায়ক পরিবেশে নাগরিকদের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে’ দেশের সব রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের নেতাদের অবদান রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে রিজভী বলেন, ‘কমনওয়েলথ মহাসচিবের এমন আহ্বান বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণকে আহত করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁর বক্তব্য গণতন্ত্রপন্থী বাংলাদেশিদের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী।’
রিজভী বলেন, প্যাটিসিয়া স্কটল্যান্ডকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে যে বাংলাদেশের সব প্রধান গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দল এই নির্বাচন বর্জন করেছে। শুধু ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত ডামি, স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ক্ষমতাসীন দলের আশীর্বাদ নিয়ে ভুয়া বিরোধীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানো হয়েছে। তিনি বলেন, যেহেতু নির্বাচনের ফল ইতিমধ্যে পূর্বনির্ধারিত, জনগণের কাছে প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বীদের বেছে নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এ ধরনের অনেক ঘটনা স্থানীয় গণমাধ্যমে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে, এমনকি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এসেছে বলে রিজভীর বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সব গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য তাদের মতামত ব্যক্ত করেছে। অন্যদিকে, সব গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনের বাইরে থাকতে বাধ্য করে, ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করে এবং ডামি প্রার্থী, ডামি নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং ডামি ভোটারদের দ্বারা একটি নির্বাচন মঞ্চস্থ পরিকল্পনা করেছে সরকার।
বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি কমনওয়েলথের অঙ্গীকার আশা করে। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড বুঝবেন যে গণতন্ত্রকামী জনগণ, নাগরিক সমাজ এবং রাজনৈতিক দলগুলো চায় কমনওয়েলথ বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকুক।’