বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি জীবনে আরও সংকট নিয়ে আসবে: সিপিবি

দেশে পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। এ অবস্থায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনে আরও সংকট নিয়ে আসবে বলে মনে করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন সিপিবির নেতারা। দুঃশাসন, দুর্নীতি, গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ রুখে দাঁড়ানো এবং ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সপ্তাহের প্রথম দিনে আজ পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে সিপিবি।

এক প্রজ্ঞাপনে আজ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। নতুন এই দর চলতি মাস থেকেই কার্যকর হবে।

সিপিবির সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন দলটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম। তিনি বলেন, মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। খাদ্যপণ্য ও ওষুধের মূল্য আকাশচুম্বী। এ অবস্থায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনে আরও সংকট নিয়ে আসবে। কৃষি, শিল্পসহ সর্বত্র উৎপাদন খরচ বাড়বে। সেই বাড়তি খরচ মানুষের পকেট থেকে তুলে নেবে। অথচ দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, অপচয় দূর করতে পারলে বিদ্যুতের মূল্য না বাড়িয়ে কমানো যেত।

আরও পড়ুন

গণতন্ত্রহীন পরিবেশে দুর্নীতি ও লুটেরারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন। তিনি বলেন, মানুষ বাঁচাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, রেশনিং, ন্যায্যমূল্যের দোকান ও গণবণ্টন ব্যবস্থা চালু করতে হবে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারার প্রতিবাদে ১৫ জানুয়ারি বাম জোট বিক্ষোভ করবে।

এই আর্থিক সংকটের সময়ে ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের তৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রুহিন হোসেন বলেন, জনমত উপেক্ষা করে আগামী নির্বাচনে প্রশাসনিক কারসাজির যেকোনো চক্রান্তের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

সমাবেশে ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার করে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীন নির্বাচন দেওয়ার দাবিও জানান নেতারা।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিপিবি ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, ঢাকা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক লুনা নূর। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন দলটির সহসাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ।