রাতে আবার এভারকেয়ার হাসপাতালে জুবাইদা রহমান
লন্ডন থেকে ঢাকায় আজ শুক্রবার পৌঁছে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাশুড়ি খালেদা জিয়ার কাছে গিয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। সেখানে কয়েক ঘণ্টা থেকে দুপুরে ধানমন্ডিতে বাবার বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। রাতে আবার এসেছেন হাসপাতালে।
রাত সোয়া আটটার দিকে জুবাইদা রহমান এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান। শাশুড়ির চিকিৎসার খোঁজখবর নিচ্ছেন তিনি। রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি হাসপাতালেই অবস্থান করছিলেন।
জুবাইদা রহমান লন্ডন থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। শাশুড়িকে দেখতে সেখান থেকে সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটের দিকে জুবাইদা রহমান বসুন্ধরা এলাকায় হাসপাতালটিতে পৌঁছান। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় এভারকেয়ারে অবস্থান করে বেলা আড়াইটার দিকে তিনি ধানমন্ডিতে যান।
রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেনও দলের চেয়ারপারসনকে দেখতে হাসপাতালে আসেন।
চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে জুবাইদা রহমান ঢাকায় এসেছেন। খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নিতে কাতারের আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর কথা ছিল। তবে রক্ষণাবেক্ষণের কারণে সেটি আসছে না। বিকল্প হিসেবে জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে পাঠাচ্ছে কাতার। শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে এবং মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে খালেদা জিয়াকে নিয়ে আগামী রোববার লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবে ওই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।
এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা যদি যাত্রার জন্য উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত দিলে ইনশা আল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) তিনি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন।’
১৩ দিন ধরে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর সংকটাপন্ন শারীরিক অবস্থা নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। খালেদা জিয়ার ফুসফুসে সংক্রমণের কারণে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, সেটি কিছুটা উন্নতির দিকে। হৃদ্যন্ত্রে জটিলতাও কিছুটা কমেছে। তবে অন্য সমস্যাগুলো অনেকটাই অপরিবর্তিত।
গত ২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষায় ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মধ্যবর্তী নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট (এইচডিইউ) থেকে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়।