সরকারের ওপর অব্যাহত চাপ জাতি ভালোভাবে দেখছে না: চরমোনাই পীর

মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চরমোনাই পীরছবি: প্রথম আলো।

‘দেশে একটা দল কেবলই নির্বাচন নির্বাচন করছে। যারা নির্বাচনের জিকির তুলেছে, তাদের অতীত আমরা জানি। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়সীমা আর বিএনপির দাবি করা সময়সীমার মাঝে পার্থক্য মাত্র ছয় মাস।’ এই ছয় মাসের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের ওপরে চাপ প্রয়োগ করাকে জাতি ভালোভাবে দেখছে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর।

মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁওয়ে এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চরমোনাই পীর এ কথা বলেন। পরে দলটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চরমোনাই পীর বলেন, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লাখো মানুষের আত্মত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার পর ৫৪ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু আমরা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার পাইনি; বরং বাংলাদেশকে বিশ্বের সেরা দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে বিগত সরকারগুলো।’

সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম আরও বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে রাজনৈতিক হানাহানিতে লাখো মায়ের বুক খালি হয়েছে। জনমানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে।

হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এরপর এল জুলাই অভ্যুত্থান। হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে। এখনো তারা বিছানায় কাতরাচ্ছে। অন্ধ হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণে মানুষ হতাশ হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সহ্য করা হবে না। মানুষকে আবারও আশাহত হতে দেওয়া যাবে না।’

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে চরমোনাই পীর বলেন, ‘বিদ্যমান প্রশাসন, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও দলগুলোর স্বার্থান্বেষী আচরণ অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ করার সুযোগ নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেছি এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সংস্কারের দাবি জানিয়েছি।’

আগামী নির্বাচনে সবার কাছে ভোট চেয়ে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘দেশ, জাতি ও মানবতার পক্ষে আমাদের সম্মিলিত লড়াই করতে হবে। এই লড়াইয়ে আমি আপনাদের পাশে চাই। সকল ধরনের রাজনৈতিক প্রলোভন এড়িয়ে আমরা কাজ করে গিয়েছি। জুলাই অভ্যুত্থানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলীয় ব্যানারে রাজপথে লড়াই করেছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার আন্দোলনেও আমরা রাজপথে থেকেছি। তাই আগামী নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে বিজয়ী করতেই হবে।’

চরমোনাই পীর বলেন, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লাখো মানুষের আত্মত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার পর ৫৪ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু আমরা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার পাইনি; বরং বাংলাদেশকে বিশ্বের সেরা দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে বিগত সরকারগুলো।’

সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম আরও বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে রাজনৈতিক হানাহানিতে লাখো মায়ের বুক খালি হয়েছে। জনমানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এরপর এল জুলাই অভ্যুত্থান। হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে। এখনো তারা বিছানায় কাতরাচ্ছে। অন্ধ হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণে মানুষ হতাশ হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সহ্য করা হবে না। মানুষকে আবারও আশাহত হতে দেওয়া যাবে না।’

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে চরমোনাই পীর বলেন, ‘বিদ্যমান প্রশাসন, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও দলগুলোর স্বার্থান্বেষী আচরণ অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ করার সুযোগ নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেছি এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সংস্কারের দাবি জানিয়েছি।’

আগামী নির্বাচনে সবার কাছে ভোট চেয়ে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘দেশ, জাতি ও মানবতার পক্ষে আমাদের সম্মিলিত লড়াই করতে হবে। এই লড়াইয়ে আমি আপনাদের পাশে চাই। সকল ধরনের রাজনৈতিক প্রলোভন এড়িয়ে আমরা কাজ করে গিয়েছি। জুলাই অভ্যুত্থানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলীয় ব্যানারে রাজপথে লড়াই করেছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার আন্দোলনেও আমরা রাজপথে থেকেছি। তাই আগামী নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে বিজয়ী করতেই হবে।’