খাদ্যমন্ত্রীর আয় ও সম্পদের হিসাব লাখ থেকে কোটিতে

সাধন চন্দ্র মজুমদার

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সাধন চন্দ্র মজুমদারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা। বছরে তিনি আয় করতেন আড়াই লাখ টাকা।

তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য ও এক মেয়াদে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর এখন তাঁর আয় ও সম্পদের হিসাব হচ্ছে কোটিতে। বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি টাকা। আর বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে চার কোটি টাকার কাছাকাছি।

নওগাঁ-১ আসন থেকে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে পরপর তিনবার সংসদ সদস্য হন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন সাধন চন্দ্র মজুমদার। ২০১৮ সালে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য হওয়ার পর তিনি খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এবারও তিনি দলের মনোনয়নে প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনগুলোতে প্রার্থী হিসেবে দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সেই হিসাবে ১৫ বছরের ব্যবধানে তাঁর বার্ষিক আয় বেড়েছে ১৫৭ গুণের বেশি।

সাধন চন্দ্র মজুমদার তাঁর হলফনামায় বরাবরই পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্যবসা ও কৃষি। এবারের হলফনামায় তাঁর আয়ের উৎস হিসেবে তিনি সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হিসেবে সম্মানী ভাতা, কৃষি খাত, ব্যাংকে স্থায়ী আমানতের সুদ, অংশীদারি কারবার (ঠিকাদারি), ব্যবসা ও অন্যান্য উৎস উল্লেখ করেছেন।

এসব উৎস থেকে বর্তমানে তাঁর বার্ষিক আয় ৩ কোটি ৯৪ লাখ ২৩ হাজার ২৫৬ টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় তিনি বার্ষিক আয় উল্লেখ করেছিলেন ২ কোটি ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৬১৮ টাকা। মন্ত্রী হওয়ার পর পাঁচ বছরের ব্যবধানে তাঁর বার্ষিক আয় বেড়েছে প্রায় দুই গুণ।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সেই হিসাবে ১৫ বছরের ব্যবধানে তাঁর বার্ষিক আয় বেড়েছে ১৫৭ গুণের বেশি।

এবারের হলফনামায় তাঁর আয়ের উৎস হিসেবে তিনি সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হিসেবে সম্মানী ভাতা, কৃষি খাত, ব্যাংকে স্থায়ী আমানতের সুদ, অংশীদারি কারবার (ঠিকাদারি), ব্যবসা ও অন্যান্য উৎস উল্লেখ করেছেন।

এবারের হলফনামায় খাদ্যমন্ত্রী আয়ের উৎস হিসেবে উল্লেখ করেছেন সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হিসেবে সম্মানী ভাতা ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা; কৃষি খাত থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা; ব্যবসা থেকে ৫ লাখ ৩৪ হাজার ২৭৩ টাকা; শেয়ার-সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানতের সুদ ও অংশীদারি কারবার (ঠিকাদারি) থেকে আয় ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৫ হাজার টাকা।