সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপিপন্থীরা ব্যালট ছিনতাই করেছেন: তথ্যমন্ত্রী
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই বিএনপিপন্থীরা ব্যালট ছিনতাই করেছেন বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, গতকাল ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে বিএনপিদলীয় আইনজীবীরা এই যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে, বিচার বিভাগের ইতিহাসে, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে কালিমা লেপন করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে ও শবনম জাহানের সঞ্চালনায় সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে ও আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম সভায় বক্তব্য দেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনাদের মনে আছে, ইতিপূর্বে বিএনপির আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিলেন। গতকাল তাঁরা ব্যালট বাক্স এবং ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছেন। তাঁরা আসলে প্রতিষ্ঠানকেই ধ্বংস করতে চান। কোনো প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে, নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলুক, সেটি তাঁরা চান না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জানে যে তারা ঢাকা বার নির্বাচনে হেরেছে, সেখানে হারার পর তারা বুঝতে পেরেছে যে সুপ্রিম কোর্টে তাদের হার নিশ্চিত। সে কারণে তারা প্রথমে ভোট বর্জনের নাটক, পরে আবার ব্যালট পেপার ছিনতাই করল। সুতরাং এভাবে তারা সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে চায়। তারা আগামী নির্বাচনকেও বাধাগ্রস্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে নির্বাচন কারও জন্য থেমে থাকবে না। ২০১৪ সালে যেমন কারও জন্য থেমে থাকেনি, ২০১৮ সালের নির্বাচনও কারও জন্য থেমে থাকেনি, আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে যে নির্বাচন কিংবা এ বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনও কারও জন্য দাঁড়িয়ে থাকবে না।
সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতা তারেক রহমান নির্বাচন চান না, বেগম খালেদা জিয়াও নির্বাচন চান না। কারণ, ওনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। ওনারা যেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, এ জন্য ওনারা নির্বাচন চান না। তবে আপনাদের অনেক নেতা নির্বাচন চান। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও আমি বলতে পারি বিএনপির নেতারা নির্বাচন করবেন। সুতরাং নির্বাচন সবাইকে নিয়েই হবে, ইনশা আল্লাহ।’
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমি মহিলা আওয়ামী লীগকে বলব, আমাদের নির্বাচন সন্নিকটে, দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী, সুতরাং নারীদের কাছে ১৪ বছরে বাংলাদেশের বদলে যাওয়ার ইতিহাস ও বন্দনা পৌঁছে দিতে হবে, নারীদের সংগঠিত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রথম নারী চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম, বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য ফারজানা ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রথম নির্বাচিত নারী সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, জাতীয় কারাতে খেলোয়াড় মারজানা আক্তার প্রিয়া, প্রথম নারী মেট্রোরেল অপারেটর মরিয়ম আফিজা ও প্রথম নারী ট্রেন অপারেটর আসমা আক্তারকে সম্মাননায় ভূষিত করেন অতিথিরা।