সাঈদীর মৃত্যুকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা শুরু করেছে: মেনন

‘সন্ত্রাসবিরোধী দিবস উপলক্ষে’ শুক্রবার রাজধানীতে রক্তদান ও হেপাটাইটিস বি ও সি স্ক্রিনিং কর্মসূচির অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন
ছবি: ওয়ার্কার্স পার্টির সৌজন্যে

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কখনোই সন্ত্রাস, সহিংসতা ও মিথ্যা প্রচার ছাড়েনি। সম্প্রতি নির্বাচন সামনে রেখে সাঈদীর মৃত্যুকে অজুহাত করে যুদ্ধাপরাধের পক্ষে প্রচার ও সহিংস কর্মকাণ্ড শুরু করেছে তারা।

আজ শুক্রবার মেনন হত্যাচেষ্টার ৩১তম বার্ষিকীতে ‘সন্ত্রাসবিরোধী দিবস’–এর কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন মেনন। দিনটি উপলক্ষে ওয়ার্কার্স পার্টির চিকিৎসা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ রক্তদান ও হেপাটাইটিস বি ও সি স্ক্রিনিং কর্মসূচির আয়োজন করে। সকাল সাড়ে ১০টায় ওয়ার্কার্স পার্টি কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান হয়।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘১৯৯০–এর গণ–অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের যে নতুন যাত্রা শুরু হয়েছিল, তাকে পথভ্রষ্ট করতে একইভাবে ধর্ম নিয়ে মিথ্যা প্রচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছিল। তারই ধারাবাহিকতা ১৯৯২-এর ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় পার্টি অফিসের সামনে আমাকে হত্যার জন্য গুলি করা হয়েছিল। দেশবাসীর দোয়া ও আশীর্বাদে আমি বেঁচে গেলেও আজ পর্যন্ত ওই হত্যাচেষ্টার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত বা বিচার হয়নি। জনগণের আন্দোলনের চাপে আমাকে লন্ডনে পাঠিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থার সব ব্যয়ভার আমাকে ও আমার পরিবার এবং শুভান্যুধায়ীদের বহন করতে হয়।’

মেনন বলেন, ‘উত্তরায় আমার পিতার দেওয়া জমিতে ব্যাংকঋণে নির্মিত বাড়িটি পর্যন্ত চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে বিক্রি করতে হয়। আজ এত বছর পর সেই হত্যাচেষ্টার স্মরণ করে বিএনপি-জামায়াতের সাম্প্রতিক দেশ ও গণতন্ত্রবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এটা স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন যে বিদেশি জুজুর ভয় দেখিয়ে এ দেশের মানুষকে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পথ থেকে বিচ্যুৎ করা যাবে না।’

পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মোস্তফা আলমগীর। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন হেপাটোলজিবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব, ইএনটিবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, আইনি অর্থনীতিবিদ এম এস সিদ্দিকী।

আলোচনা সভার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ সন্ধ্যানী রক্ত সংগ্রহ করে ও হেপাটাইটিস বি ও সি স্কিনিং করা হয়।