সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সব ভাতা বৃদ্ধির দাবি

জাতীয় সংসদ ভবনফাইল ছবি

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় দেওয়া বিভিন্ন ভাতার পরিমাণ বাড়িয়ে ন্যূনতম দুই হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই দাবি জানান।

চাঁদপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীতে বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, বিধবা ভাতা—এসব ভাতা যতজন পাওয়ার কথা, তাঁদের অনেকে এখনো পাচ্ছেন না। বর্তমানে সর্বোচ্চ ভাতা ৭০০ টাকা। বর্তমান বাজারে ৭০০ টাকা দিয়ে জীবন ধারণ কোনোমতেই সম্ভব নয়। এ কারণে তিনি এই ভাতা ন্যূনতম দুই হাজার টাকা করার দাবি জানান।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেক সচ্ছল ব্যক্তিও বয়স্ক ভাতা পান। যেখানে অতি নিম্ন আয় বা আয়হীন মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় এনে বেঁচে থাকার ন্যূনতম সব ভাতা দেওয়া যাচ্ছে না, সেখানে সচ্ছল ব্যক্তিদের ভাতা দেওয়া ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এসব বন্ধ করে যাঁরা ভাতা পাওয়ার উপযুক্ত, তাঁদের সবাইকে ভাতার আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

‘বলতে থাকুন’

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য সংসদ সদস্যদের সময় নির্ধারণ করে দেওয়া থাকে। সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিকের জন্য নির্ধারিত সময় ছিল পাঁচ মিনিট। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর তাঁকে আও দুই মিনিট সময় বাড়িয়ে দেন স্পিকারের আসনে থাকা ডেপুটি স্পিকার শামছুল হক। এ সময় সাবেক রাষ্ট্রপতি ও স্পিকার আবদুল হামিদের ছেলে সংসদ সদস্য রেজওয়ান তৌফিক ডেপুটি স্পিকারের উদ্দেশে কিছুটা মজার ছলে বলেন, ‘আমার পিতাও আপনার আসনে বসতেন, সেই হিসাবে আমি আপনার কাছে সুবিধা চাইব।’

তখন তৌফিকের উদ্দেশে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘দুই মিনিট বলুন’। তৌফিক বলেন, দুই-তিন মিনিট সময় দেন। তখন ডেপুটি স্পিকার তৌফিকের উদ্দেশে বলেন, ‘বলতে থাকুন’। এ সময় সংসদ কক্ষে হাসির রোল পড়ে।

‘মনে হয় দেশে কোনো আইন নেই’

এর আগে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে শব্দদূষণের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক। তিনি বলেন, সব গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্ন। কান ঝালাপালা হয়ে যায়। মনে হয় দেশে কোনো আইন নেই। সংশ্লিষ্ট সংস্থা এ বিষয়ে আইনের প্রয়োগ করছে না। এটা খুবই জরুরি। স্বরাষ্ট্র ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।