‘জাতীয় জনতার জোটের’ আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির আহ্বায়ক কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা। ৩১ আগস্ট
ছবি: সংগৃহীত

‘জাতীয় জনতার জোট’ নামে আরও একটি রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে ছয় দল মিলে নতুন এই জোটের ঘোষণা দেওয়া হয়।

যদিও এই রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন নেই। দলগুলো সবার কাছে পরিচিত নয়। তবে জোটের নেতারা বলেছেন, তাঁরা নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন চেয়েও পাননি। তাঁদের এই জোট আওয়ামী লীগ বা বিএনপিপন্থী—কোনোটাই নয়।

নতুন এই জোটের দলগুলো হলো বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ জনতা ঐক্য, বাংলাদেশ মানবতাবাদী পার্টি, ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি ও বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জনগণের প্রত্যাশা ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা এবং জাতীয় জনতার জোটের আত্মপ্রকাশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির আহ্বায়ক কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন জাতীয় ইনসাফ কমিটি করলাম, আমাদের বলল যে আমরা বিএনপিকে ভাঙতে চাই। কিন্তু আমরা রাজনৈতিক দল নই। আমি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কাছে কিছু চাই না। আমরা চাই জাতিসংঘঘোষিত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জনগণের যে অধিকার, সে অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’

জাতীয় ইনসাফ কমিটি নির্বাচনবিরোধী নয় উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘এক মাফিয়া লুটেরার জায়গায় আরেক মাফিয়াকে বসাব, এটাতে আমরা নেই। ৫০ বছর ধরে এটা হয়ে আসছে, আমরা এটা চাই না। এবারের লড়াই ভিন্ন রকমের লড়াই। এবারের লড়াই আমাদের কাছে যে অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, সে অধিকার ফিরিয়ে নেওয়ার লড়াই। কাউকে ক্ষমতায় বসানোর লড়াই নয়।’

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন নৈতিক সমাজের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন। তিনি  বলেন, ‘সমাজ অপরাধ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসে ভরে গেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর ধরে আমরা এই সমস্যায় ভুগছি। ১৫ কোটি টাকার নিচে এখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়ন পাওয়া যায় না। এ কারণে সমাজ ও রাজনীতির সংস্কার করতে হবে। সর্বস্তরে জবাবদিহি ও দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও জাতীয় জনতার জোটের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসাইন। প্রধান আলোচক হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জানিপপের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর নাম থাকলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।