মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ

পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতে ইসলামীছবি: জামায়াতে ইসলামীর সৌজন্যে

পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ–সমাবেশ করেছে ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী। সমাবেশ থেকে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আয়োজনে শনিবার বিকেলে তেজগাঁও সাতরাস্তা এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মগবাজারে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।

ওই সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, অপশাসন-দুঃশাসন এবং জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ক্ষমতায় টিকে ছিল। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি; বরং ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে তাদের লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। আজ যারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দিবাস্বপ্নে বিভোর, তারা যদি পতিত স্বৈরাচারের পরিণতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ না করে, তাহলে তারা ১৫ মাসও ক্ষমতায় টিকতে পারবে না।

পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী
ছবি: প্রধম আলো

রেজাউল করিম বলেন আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদ শাসনামলে জনগণের ওপর হেলমেট বাহিনী লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখন তাদের অনুপস্থিতিতে বড় পাথর বাহিনী আবির্ভাব ঘটেছে। তারাই মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যা করে নিজেদের বর্বরতার জানান দিয়েছে।

আবু সাঈদ-মুগ্ধের দেশে কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও পাথর বাহিনীর স্থান নেই উল্লেখ করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, জনগণ এদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নই; বরং আমরা সব ধরনের অপরাধ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে। অপরাধ দমনে ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তাবিধানে জনপ্রশাসনকে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। এতে যদি আপনারা ভয় পান, তাহলে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে পদত্যাগ করুন।’

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ফখরুদ্দীন মানিক, ইয়াছিন আরাফাত, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য হেদায়েত উল্লাহ, নোমান আহমেদি প্রমুখ।

আরও পড়ুন