শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার স্বীকৃতি জাতিসংঘেও: তথ্যমন্ত্রী

সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
ছবি: তথ্য মন্ত্রণালয়

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিকব্যবস্থা জাতিসংঘে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ শিরোনামে প্রস্তাব হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয়, আজকে জাতিসংঘ শেখ হাসিনার প্রশংসা করে এবং তাঁর সরকার পরিচালনার ধরন এবং জনগণের জন্য তাঁর যে কাজ, এটিকে জাতিসংঘও স্বীকৃতি দেয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন হাছান মাহমুদ। তখন এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘে ১৬ তারিখে যখন “শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ” প্রস্তাবটি পাস হয়েছে, তখন আমাদের এখানে ১৭ তারিখ অর্থাৎ কাকতালীয়ভাবে তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন। বিশ্বের ৭১টি দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে এই প্রস্তাব কো-স্পনসর করেছে, যা জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য ‘মোখা’র মতো রাজনৈতিক অঙ্গনে একটা ঝড় আসছে—এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আশ্চর্যের বিষয়, একটি প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড় আমাদের দেশের উপকূলে আঘাত হানার পূর্বক্ষণে মানুষ যখন আতঙ্কিত-শঙ্কিত, মানুষ যখন জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত, সে সময় কোথায় মোখা যাতে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে, সে জন্য মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা, সেটি না করে বরং সেটিকে নিয়ে রাজনীতির সঙ্গে মেলানো এবং উপহাস করা একজন রাজনীতিবিদের সাজে না।’

বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, সব কূটনীতিককে নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কিন্তু দেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পর কয়েকজন কূটনীতিককে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান সরকার অত্যন্ত সফলভাবে জঙ্গিদের দমন করতে সক্ষম হয়েছে। এখন যেহেতু প্রয়োজন নেই, তাই বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের নিরাপত্তা অব্যাহত আছে।

হাছান বলেন, ‘তদুপরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এটাও সুস্পষ্ট করেছেন, কেউ যদি বাড়তি নিরাপত্তা সরকারের কাছে চায় এবং সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করে, তাদের সেটি দেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো বিষয় নেই, এটি রুটিন ওয়ার্ক।’