জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল শুনানি ১২ নভেম্বর

লোগোটি জামায়াতে ইসলামীর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে নেওয়া

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল শুনানির জন্য ১২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ আজ সোমবার শুনানির এ দিন ঠিক করেন।

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে জামায়াতকে বিরত রাখতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এবং জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে গত জুনে আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করেন তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ কয়েকজন। সর্বশেষ গত ১৯ অক্টোবর আদালত শুনানির জন্য ৬ নভেম্বর (আজ) দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর ও আহসানুল করিম। লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) পক্ষে নিয়োজিত জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর ব্যক্তিগত অসুবিধার জন্য দুই সপ্তাহ সময়ের আবেদন দেন আইনজীবী মো. জিয়াউর রহমান।

শুনানিতে আইনজীবী তানিয়া আমীর বলেন, হাইকোর্টের রায় লঙ্ঘন করে তারা (জামায়াত) কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। ধারাবাহিকভাবে অবরোধ চলছে। নাশকতাও হচ্ছে। আদালত অবমাননার জন্য আবেদনও করা হয়েছে। তখন আদালত বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ লঙ্ঘিত হচ্ছে বলছেন। হাইকোর্টের রায়টা দেখতে সিপি (লিভ টু আপিল) শুনতে হবে। সিপি শুনব ১২ নভেম্বর।’

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন। এরপর রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই দলটির পক্ষ থেকে লিভ টু আপিল (সিপি) করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

‘এক দশক পর সমাবেশের অনুমতি পেল জামায়াত’ ও ‘নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জামায়াতে ইসলামীর, এক দশক পর ঢাকায় সমাবেশ’—এমন শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে গত ১০ জুন প্রতিবেদন ছাপা হয়। এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে মিছিল, সভা, সমাবেশসহ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে জামায়াতকে বিরত রাখতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এবং জামায়াতের আমির, সেক্রেটারি জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ অন্যরা পৃথক আবেদন করেন।