সরকারি দলের খালি মাঠে গোল দিতেই এই তফসিল: জামায়াত

লোগোটি জামায়াতে ইসলামীর এক্স (সাবেক টুইটার) থেকে নেওয়া

আগামী জাতীয় নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলকে ‘সরকারদলীয় নীলনকশার তফসিল’ বলে অভিহিত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলেছে, সরকারি দলকে খালি মাঠে গোল করার সুযোগ দিতেই আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন এই তফসিল ঘোষণা করেছে। জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানান।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দাবিকে উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত আজ্ঞাবহ তফসিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ সমগ্র জাতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।

জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী সরকারের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। ষড়যন্ত্রমূলক নীলনকশার তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন মূলত বিরোধী দলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে অতীতের মতো শাসক দলকে জিতিয়ে আনার কৌশল নিয়েছে।’

বিবৃতিতে জামায়াত নেতা মুজিবুর রহমান ঘোষিত তফসিল প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকামী সংগ্রামী জনতা একতরফার সাজানো নির্বাচন হতে দেবে না। জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে কমিশনকে অবশ্যই এই তফসিল প্রত্যাহার করতে হবে। সব দলের মধ্যে ঐকমত্য ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত করে কমিশনকে নতুনভাবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। নতুন তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

একতরফা প্রহসনের নির্বাচনের ফলে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির দায় সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি জানান জামায়াতের এই নেতা। তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলোর মতামত অগ্রাহ্য করে তফসিল ঘোষণার ফল কারও জন্যই সুখকর হবে না; বরং দেশকে অস্থিতিশীল ও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে। রাজনীতিতে ঘোর অমানিশা নেমে আসবে।