ভোটে উপদেষ্টাদের প্রার্থী হওয়ার পথ বন্ধ করতে হবে: গণঅধিকার পরিষদ

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। আজ বুধবার নির্বাচন কমিশনেছবি: ভিডিও থেকে

অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টা যাতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন, এমন বিধান করার দাবি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।

আজ বুধবার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করে এই দাবি জানিয়ে আসে দলটি। আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে এটিসহ ৯টি প্রস্তাব তারা সিইসিকে দিয়েছে। অন্য প্রস্তাবগুলো হলো আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোট প্রদান নিশ্চিত করা; রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি–সংশ্লিষ্টদের রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে না রাখা; প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা এবং কেন্দ্রের বাইরে বড় পর্দায় জনসাধারণের জন্য কেন্দ্রের ভেতরের ভোট কার্যক্রম ও ভোট গণনা পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা; রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ব্যালট বাক্স উপজেলাতে পাঠানোর সময় ও ভোটকেন্দ্র থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আসা পর্যন্ত সার্বক্ষণিক প্রার্থীদের এজেন্টদের সঙ্গে রাখা; ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্র দখল ও জাল ভোটের অভিযোগ থাকলে ভোট গ্রহণ বন্ধ করা; কোনো প্রার্থীর সমর্থকেরা অন্য প্রার্থীর সমর্থকদের নির্বাচনী কাজে বাধা প্রদান, ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা; বিগত তিনটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাকে নির্বাচনী দায়িত্ব প্রদান থেকে বিরত রাখা এবং তফসিলের পর প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো।

সিইসির সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদের ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর। এ ছাড়া ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান, উচ্চতর পরিষদ সদস্য শাকিল উজ্জামান, নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আশরাফুল রায়হান এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন ইউসুফ।