বিএসএফের ‘পুশ-ইন’ ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি খেলাফত মজলিসের
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক লোকজনকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পাঠানো (পুশ–ইন) ঠেকাতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় নাগরিকদের অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য দেশের সীমান্তবর্তী জেলা প্রশাসনের কার্যকর তৎপরতা চেয়েছে দলটি।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের আলোচনার বিষয় আজ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।
খেলাফত মজলিস দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদারসহ স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সক্ষম সব নাগরিকের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় দলটি।
ভারত–পাকিস্তান ‘যুদ্ধের’ প্রেক্ষাপটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বৈঠকে খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, ভারত প্রতিবেশী পাকিস্তানের মসজিদ-মাদ্রাসায় হামলা ও হত্যাকাণ্ড চালিয়ে সে দেশের সার্বভৌমত্বের পাশাপাশি ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত দিয়েছে। মূলত ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার কাশ্মীরের পেহেলগামে নিরীহ পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানে ব্যর্থতার দায় এড়ানোর জন্যে এই আগ্রাসন চালিয়েছে। উপমহাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে উভয় দেশকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান তাঁরা।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনকে ইসলামবিদ্বেষী আখ্যা দিয়ে খেলাফত মজলিস বলেছে, এ কমিশন বাতিলের উদ্যোগ না নিয়ে বরং বিতর্ক জারি রাখা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য সঠিক হচ্ছে না। দলটি বলেছে, এ কমিশনবিরোধী আলেম-ওলামা ও ইসলামী ব্যক্তিবর্গকে নারীর প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী হিসেবে চিত্রিত করার অপচেষ্টা চলছে। নারী-পুরুষকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে একদল অর্বাচীন এ বিষয়ে জল ঘোলা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
অবিলম্বে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন এবং তাদের দেওয়া প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানিয়ে খেলাফত মজলিস বলেছে, এ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে আঘাত দিয়ে প্রণীত প্রস্তাবগুলো কোনোভাবেই এখানে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
খেলাফত মজলিসের আমির আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, আবদুল্লাহ ফরিদ ও সৈয়দ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, মোস্তাফিজুর রহমান ও আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, কাজী মিনহাজুল আলম প্রমুখ।