উষ্ণ অভ্যর্থনা ও ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান

রাজধানীর পূর্বাচলে ৩০০ ফিটে গণসংবর্ধনাস্থলের মঞ্চে তারেক রহমান দুই হাত তুলে অভিবাদন জানান। ২৫ ডিসেম্বরছবি: তানভীর আহাম্মেদ

দীর্ঘ ১৭ বছর পর যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফিরে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও ভালোবাসা পাওয়ায় দেশের মানুষের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গত বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার দিনটিকে নিজের জীবনের জন্য ‘অবিস্মরণীয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আবার আমার মাতৃভূমির মাটিতে পা রেখেছি। আপনাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা, ঢাকার রাস্তাজুড়ে মানুষের ঢল, আর লাখো মানুষের দোয়া—এই মুহূর্তগুলো আমি কোনো দিন ভুলতে পারব না।’

শনিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে এ কথা বলেন তারেক রহমান।

সব প্রতিকূলতার মধ্যেও যাঁরা পাশে ছিলেন এবং আশা হারাননি, তাঁদের সাহসই তাঁকে প্রতিনিয়ত শক্তি জুগিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘এই ফিরে আসা নিয়ে আমার ও আমার পরিবারের মনে যে ভালোবাসা ও সম্মান কাজ করছে, তা শুধু কথায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।’

নাগরিক সমাজ, তরুণ, পেশাজীবী, কৃষক, শ্রমিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আপনারাই আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ তখনই সবচেয়ে শক্তিশালী হয়, যখন এ দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকে।’

তারেক রহমান বাবার কবর জিয়ারত শেষে জিয়া উদ্যান থেকে বেরিয়ে আসার সময় আবারও নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন। ২৬ ডিসেম্বর
ছবি: সাজিদ হোসেন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দীর্ঘ নির্বাসনের পর স্বদেশে ফেরার ঐতিহাসিক মুহূর্তটি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান তারেক রহমান। একই সঙ্গে তাঁর দেশে ফেরার সময় এবং সার্বিকভাবে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।

ভিন্ন রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনের নেতাদের প্রতিও ধন্যবাদ জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্র, বহুদলীয় সহাবস্থান এবং জনগণের অদম্য ইচ্ছাশক্তির ওপর জোর দেওয়ার বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন তিনি। গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা এবং প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বানকে তিনি বিনয় ও সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করছেন।

ভোটার হওয়া ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সারতে আজ শনিবার দুপুরে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তারেক রহমান
ছবি : তানভীর আহাম্মেদ

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার আমি শুধু কোনো স্বপ্নের কথা বলিনি, আমি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি বাস্তব পরিকল্পনার কথা বলেছি; যে বাংলাদেশে শান্তি ও মর্যাদা থাকবে, যেখানে প্রতিটি মানুষ নিজেকে নিরাপদ ও সম্মানিত মনে করবে, আর প্রতিটি শিশু আশার আলো নিয়ে বড় হবে।’

তারেক রহমান বলেন, এই পরিকল্পনা সব বাংলাদেশির জন্য, একটি ঐক্যবদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের জন্য, যেখানে সবাইকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

পোস্টের শেষে তারেক রহমানের দেশে ফেরার সময় তাঁকে বরণ করে নেওয়ার জন্য দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আল্লাহ বাংলাদেশকে এবং আপনাদের সবাইকে সব সময় তাঁর রহমতে রাখুন।

আরও পড়ুন