শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় না বসিয়ে ঘরে ফিরব না: শাজাহান খান

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান শাজাহান খান। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ঢাকা। ২৬ আগস্ট
ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় না বসিয়ে ঘরে না ফেরার কথা জানালেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান। তিনি বলেন, ‘বিএনপি শপথ নিয়েছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত না করে ঘরে ফিরবে না। আমরা শপথ নিয়েছি, শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় না বসিয়ে ঘরে ফিরব না। জয় আমাদেরই হবে। খুনির দল বিএনপির শপথ টিকবে না।’

আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবিতে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন শাজাহান খান। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

দেশের তরুণ প্রজন্মকে একাত্তরের মতো আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে অনুরোধ জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলন করে আর ভাবে, গণ-অভ্যুত্থান কেন হয় না? যে জনগণকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছেন, সে জনগণ আপনাদের পাশে নেই, কেমনে হবে।’

বিএনপির শাসনামলে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে শাজাহান খান বলেন, তারা (বিএনপি) ক্ষমতার বাইরে থাকলেও খুন করে। ২০১৪-২০১৫ সালে আন্দোলনের নামে মানুষকে পুড়িয়ে মারার চিত্র তুলে ধরেন তিনি।

আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিশন গঠন করুন।’ তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট এলেই আইনমন্ত্রী বলেন তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে। এরপর কোনো অগ্রগতির কথা জানা যায় না।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক হারুন-অর–রশিদ বলেন, ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়া জড়িত ছিলেন, কোনো সন্দেহ নেই। জিয়াকে অনেকেই বলেন বেনিফিশিয়ারি। আমি বলি, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়া সরাসরি যুক্ত ছিলেন।’ এ হত্যাকাণ্ডের পেছনের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি করে এ অধ্যাপক আইনমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের মরণোত্তর বিচারের বিষয়টি থাকতে হবে।

বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন বাহাদুর ব্যাপারী, রফিক কোতোয়াল, আফতাব আলী খান, ফারজানা মাহমুদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদদের সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী ঘটনায় নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।