চীন ঘুরে এসে ছাত্রলীগ নেতারা বললেন ‘বন্ধুত্বের সেতু’ হিসেবে কাজ করার কথা

চীনের আনহুই প্রদেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতিনিধিদল
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের একটি যুব প্রতিনিধিদল সম্প্রতি চীন সফর করেছে। সফরের নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একজন নেতা। পাঁচ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরে ছাত্রলীগের নেতারা বলেছেন, নতুন শতাব্দীতে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ‘বন্ধুত্বের সেতু’ হিসেবে কাজ করতে তাঁরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

১১ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনের উদ্দেশে রওনা দেয় ১৯ সদস্যের ওই যুব প্রতিনিধিদল। তাঁদের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ১৫ নেতা ছিলেন। সফর শেষে ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁরা ঢাকায় ফেরেন।

যুব প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক সাকিব আল হাসান। দলে আরও ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকা বিনতে হোসেন, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আকিব মোহাম্মদ ফুয়াদ, কর্মসূচি ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক সাফওয়ান চৌধুরী, ছাত্রী ও নারী উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক নোশিন শারমিলি, শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক উপসম্পাদক অন্তরা দাস, অটিজমবিষয়ক উপসম্পাদক আনোয়ারুল কবীর প্রমুখ।

আজ বৃহস্পতিবার সাকিব আল হাসান ফেসবুকে চীন সফরের ছবি পোস্ট করেছেন। শিরোনামে তিনি লিখেছেন, ‘১২ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছাত্রলীগের একটি দল চীন সফর করে। সেই সফর পুরোপুরি সফল হয়েছে। চীনের আনহুই প্রদেশ সফরকালে আমরা সেখানকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়, জাদুঘর, ঐতিহাসিক স্থান, উদ্ভাবনী প্রতিষ্ঠান এবং মডেল গ্রাম, সিটি ওয়াল পরিদর্শন করি।’

গত মঙ্গলবার ঢাকার চীনা দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও ওই সফরের ছবি পোস্ট করা হয়। তাতে বলা হয়, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের নেতারা এবং আনহুই প্রদেশের আন্তর্জাতিকবিষয়ক কার্যালয় বাংলাদেশের যুব প্রতিনিধিদলের সদস্যদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। তাঁরা চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে আন্তদলীয় যুববিনিময় শক্তিশালী করতে নির্দেশনা তুলে ধরেন।

প্রতিনিধিদলের সদস্য আকিব মোহাম্মদ ফুয়াদ গতকাল বুধবার ফেসবুকে সফরের ছবি পোস্ট করেন। আকিব লেখেন, ‘প্রতিনিধিদলের তরুণ সদস্যদের এটিই ছিল প্রথম গণচীন সফর। প্রতিনিধিদলটি চীনের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ অনুভূতি নিয়ে যাত্রা করে এবং বন্ধুত্বের উত্তরাধিকারী, দুই দেশের মধ্যে উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা ও লক্ষ্য নিয়ে ফিরে এসেছে। (আমরা) নতুন শতাব্দীতে বাংলাদেশ ও গণচীনের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতু হিসেবে কাজ করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বিশ্বাস করেছি যে বাংলাদেশ ও গণচীনের মধ্যে বন্ধুত্ব চিরকাল থাকবে, ইনশা আল্লাহ!’
জানতে চাইলে আকিব মোহাম্মদ ফুয়াদ প্রথম আলোকে বলেন, গণচীনের আমন্ত্রণে এ ধরনের সফর আগেও হয়েছে এবং বাংলাদেশের যুব প্রতিনিধি হিসেবে ছাত্রলীগের অনেকে গিয়েছিলেন। তবে এবারই প্রথম আন্তদলীয় পর্যায়ে গণচীনের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ থেকে যুব প্রতিনিধিদল চীন সফর করেছে। এ পর্যায়ের পারস্পরিক সম্পর্ক বিনিময় শুরু হওয়ার কথা ছিল অনেক আগেই। কিন্তু মাঝে করোনার কারণে তা বন্ধ ছিল। এই সফরের মূল উদ্দেশ্য—দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও তরুণদের মধ্যে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া।