জাতীয় পার্টির তৃণমূলের নেতারা নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় বক্তব্য দেন চেয়ারম্যান জি এম কাদের
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির (জাপা) মাঠপর্যায়ের নেতারা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার মত দিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা বিএনপির সঙ্গে যেতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।

মঙ্গলবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় মাঠপর্যায়ের নেতারা এ মত দেন বলে সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্রে জানা গেছে। রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সভাটি হয়।

সূত্র জানিয়েছে, সভায় ৫৯ জন নেতা বক্তব্য দেন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তরের একজন নেতা ছাড়া বাকি সবাই এবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত দেন। ভিন্ন মত পোষণকারী ওই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ বিপদে পড়লে জাতীয় পার্টিও রক্ষা পাবে না। এ সময় সভায় উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে বক্তব্য শেষ না করেই তিনি নেমে যান।

জানা গেছে, জাপার ২৯৯ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এ সভায় ৬২টি জেলার এবং অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরাও অংশ নেন। সকাল ১০টা থেকে মাঝে দুপুরে খাবারের বিরতি দিয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ সভা হয়। এতে ৫৯ জন নেতা বক্তব্য দেন। তবে জাপার শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকলেও তাঁদের মধ্যে চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক ছাড়া কেউ বক্তব্য দেননি।

আরও পড়ুন

মুজিবুল হক উপস্থিত তৃণমূলের নেতাদের কাছে জানতে চান, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে না থাকলে আমরা কী করব?’ এ সময় নেতারা বিএনপির সঙ্গে যাওয়ার ব্যাপারে মত দেন।

এ পর্যায়ে মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চেয়ারম্যানকে। তিনি দেশ, জনগণ ও দলের স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তা সবাই মেনে নেবেন।

সভা শেষে জি এম কাদের বলেন, ‘আমি নেতাদের আবেগ বুঝলাম, তাঁদের মতামত জানলাম। দেশ ও জনগণের চাহিদা মোতাবেক আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

আরও পড়ুন

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ

নির্বাহী কমিটির জরুরি সভার পর রাত আটটায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করতে যান জাপার চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের। এ সময় তাঁর সঙ্গে জাপার চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মশরুর মাওলা উপস্থিত ছিলেন।

মশরুর মাওলা প্রথম আলোকে বলেন, এটি ছিল একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎ। ব্যক্তিগত আলাপচারিতা ছাড়া রাজনৈতিক কোনো বিষয়েই আলোচনা হয়নি।