জাতীয় পার্টি কীভাবে এ বক্তব্য দেয়, বুঝতে পারছেন না দুই সংসদ সদস্য

জাতীয় সংসদ ভবন
ফাইল ছবি

সবার অজান্তেই বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে, এমন বক্তব্য দেওয়ায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদেরের কঠোর সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুজন সংসদ সদস্য। তাঁরা বলেছেন, বিএনপির নেতারা এ ধরনের বক্তব্য দিলে মানা যায়। কিন্তু সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে জাতীয় পার্টি কীভাবে এ বক্তব্য দেয়, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।

রোববার জাতীয় সংসদে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁদের বক্তব্যের সময় অবশ্য জি এম কাদের সংসদে উপস্থিত ছিলেন না। দলটির কয়েকজন সদস্য উপস্থিত থাকলেও তাঁরা নিরব ছিলেন।  

এর আগে গত শনিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছিলেন, সবার অজান্তেই বাংলাদেশ এখন শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ নেই, জিনিসপত্রের দাম প্রতিদিন বাড়ছে। চিনিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম। সবার আয় কমে গেছে।

জি এম কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা জানতাম বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে গেছে, বাংলাদেশ ফ্যাসিস্ট হয়ে গেছে, অনেক কিছু বলেন। তিনি বলেন, সেটা আমরা বুঝি, কিন্তু জি এম কাদের সাহেব যে বলেলেন, সেটি আমরা বুঝি না। কারণ, হচ্ছে তাঁর দল (জাতীয় পার্টি) শেখ হাসিনার কাছ থেকে সব সুযোগ–সুবিধা নিয়ে, এই ধরনের অসত্য ভাষণ দেবেন, সেটা তো আমরা বুঝি না।’

আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য বলেন, জি এম কাদের হয়তো ভুল করেছেন, কারও কাছ থেকে ভুল শিক্ষা পেয়েছেন, কারও কাছ থেকে শুনেছেন।

আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে গেলাম, বিরোধীদলীয় উপনেতা বললেন দেশ নাকি নীরবেই শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে। আমির খসরু (বিএনপি নেতা) সে কথা বললে সহ্য হয়। এ কথা ফখরুল (বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) বললে সহ্য হয়। জি এম কাদের সাহেব বললেন দেশ নাকি নীরবেই শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে। টের পাচ্ছে না কেউ। নীরবেই হয়ে গেছে। স্বশব্দে হওয়ার কথা। কিন্তু নীরবেই হয়ে গেছি। অর্থাৎ আমাদের অগ্রগতি নজরে পড়ে না। গণতন্ত্র নিয়ে ছবক দিচ্ছে।’

দেশের সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে দাবি করে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘যারা দেখতে পায় না, দয়া করে তাদের চোখ অপারেশন (অস্ত্রোপচার) করা দরকার। এত মানুষের অপারেশনের ব্যবস্থা তো সরকার করতে পারবে না। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি এদের চক্ষু, অন্তর খুলে দেন। এরা যেন দেখে ভালো করে।’