খালেদা-তারেককে সদস্য রেখে বগুড়া জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি

বিএনপির লোগো

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাহী সদস্য করে দলটির বগুড়া জেলা শাখার ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নির্বাহী কমিটির সঙ্গে ২৭ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটিও ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে এমন কয়েকজন নেতার নাম রয়েছে, যাঁদের নিয়ে খোদ দলের মধ্যে বিতর্ক আছে। এ ছাড়া গত কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনের ঠাঁই হয়নি নতুন কমিটিতে। কমিটির সদ্য সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মো. সিরাজ এই কমিটিতে নেই।

গত বছরের ২ নভেম্বর বগুড়া জেলা বিএনপির সম্মেলন হয়। সম্মেলনের পর ঘোষণা করা হয় আংশিক কমিটি। এতে বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা সভাপতি এবং বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আজগর তালুকদার সাধারণ সম্পাদক হন।

গত কমিটির অনেক নেতা সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বাদ পড়েছেন। বগুড়া শহর বিএনপির বর্তমান সভাপতি হামিদুল হক চৌধুরী নতুন কমিটির সহসভাপতি। শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমানের নাম নতুন কমিটিতে নেই। তবে তিনি উপদেষ্টা কমিটিতে রয়েছেন।

ইসলামী ছাত্রশিবির থেকে জামায়াতে ইসলামী, পরে স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা কমিটির আহ্বায়ক থেকে বিএনপির নতুন জেলা কমিটির সদস্য হয়েছেন মাজেদুর রহমান। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক থাকার সময় তাঁর বিরুদ্ধে সংগঠনের নেতা–কর্মীদের মারধরের অভিযোগ আছে।

নতুন কমিটিতে নেই বগুড়ার কয়েকজন পৌর কাউন্সিলর। এর মধ্যে বাদ পড়েছেন সাবেক যুগ্ম সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস, জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন পশারী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শাহ মেহেদী হাসান, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সিপার আল বখতিয়ারসহ কয়েকজন নেতা। শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল মতিন, শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবুল বাশার, নন্দীগ্রাম বিএনপির সাবেক সভাপতি এ কে আজাদসহ আরও কয়েকজন নেতার নাম নতুন কমিটিতে নেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই নেতা প্রথম আলোকে বলেন, নতুন এই কমিটি কার্যত জেলা শাখার সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা এবং সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদারের ‘পকেট’ কমিটি। নতুন কমিটিতে স্থান পাওয়া বেশির ভাগই তাঁদের ‘আস্থাভাজন’ হিসেবে পরিচিত।