একতরফা তফসিল জাতির সঙ্গে চরম উপহাস: এবি পার্টি
একতরফা তফসিল ঘোষণা জাতির সঙ্গে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চরম উপহাস ও প্রহসন বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতারা। তাঁরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন।
রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতারা তাঁদের অবস্থান তুলে ধরেন। এবি পার্টির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
দলটির সংবাদ সম্মেলেন বলা হয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ উপেক্ষা করে একতরফাভাবে তফসিল ঘোষণা করছে সরকার ও ইসি। এটা জাতির সঙ্গে চরম উপহাস ও প্রহসন।
সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘প্রহসনমূলক নির্বাচনী তফসিল দেশে অচলাবস্থা ও চরম রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি করবে। আন্তর্জাতিক মহল যে সংলাপের চিঠি দিয়েছে, সেটিকে আমরা সমর্থন জানাই। আমরা আশা করব, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। সংলাপের মাধ্যমে তারা বর্তমান সংকট উত্তরণে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে।’
এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম বলেন, এবি পার্টি গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কারও সঙ্গে নেই। বাংলাদেশকে আরেকটি উত্তর কোরিয়া হতে দেওয়া যায় না। এবি পার্টি গণতান্ত্রিক বিশ্বের সঙ্গে আছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মনজু। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশের মানুষের প্রাণের দাবি একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এ দাবিতে এবি পার্টিসহ দেশের প্রধান বিরোধী সব রাজনৈতিক দল আন্দোলন করছে। শান্তি সমাবেশের নামে সরকারি দল পুলিশ পাহারায় বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। দেশকে সহিংসতার পথে ঠেলে দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনী তফসিল প্রত্যাখ্যান করে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে লাল কার্ড প্রদর্শন ও মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল ওহাব মিনার, যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, বি এম নাজমুল হক, আবদুল্লাহ আল মামুন রানাসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।