বিদেশি প্রভুদের হস্তক্ষেপে নির্বাচন হবে না: যুবলীগ চেয়ারম্যান

চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য দেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামসছবি: প্রথম আলো

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বিদেশি প্রভুদের হস্তক্ষেপ বা নির্দেশনায় বাংলাদেশে নির্বাচন বা সরকারও পরিবর্তন করা যাবে না। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে যুবলীগের প্রস্তুতি সভায় তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সামনে রেখে সভার আয়োজন করা হয়।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লাসহ আশপাশের জেলার যুবলীগের ১১টি সংগঠনের অংশগ্রহণে সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির উদ্দেশে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে হয়তোবা বিদেশি প্রভুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে। এগুলো মরীচিকা। এগুলো আপনাদের দিবাস্বপ্ন। বিদেশি প্রভুদের হস্তক্ষেপে বা নির্দেশনায় বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না। সরকারও পরিবর্তন করা যাবে না। ক্ষমতায় আসতে হলে প্রথমে এ দেশের মানুষের কাছে মাফ চাইতে হবে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এ দেশের মানুষকে নির্যাতন করেছেন। সে জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।

শেখ ফজলে শামস বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার যোগ্যতা ও সক্ষমতা বিএনপির নেই। খালেদা জিয়া ও তাঁর গুণধর পুত্র তারেক জিয়ার নেই। রাষ্ট্র পরিচালনার যোগ্যতা অর্জন করতে হলে প্রথমে দুর্নীতি পরিহার করতে হয়। রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষতা থাকতে হয়। এটা নেই বলে তারা দেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে।

পদ্মা সেতুর পর চট্টগ্রামবাসীর স্বপ্নের কর্ণফুলী টানেল চালুর অপেক্ষায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, নদীর পূর্ব দিকের শহরাঞ্চলকে যুক্ত করে এই টানেল উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। ওই এলাকার শিল্প অঞ্চলের কাজও শুরু হয়ে যাবে। এই টানেল দেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে। দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করবে। টানেল চালু হলে চট্টগ্রাম শহরকে চীনের সাংহাই শহরের মতো ওয়ান সিটি টু টাউন হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

শেখ ফজলে শামস আরও বলেন, ‘করোনা সমস্যা মোকাবিলার পর প্রধানমন্ত্রী এই প্রথম সশরীর জনসভায় বক্তৃতা দিচ্ছেন। আমাদের অনুপ্রাণিত করছেন, আমাদের আগামী দিনের পথ দেখাচ্ছেন। ১১ নভেম্বর যুব সমাবেশে এলেন। এর পর যশোরে জনসমাবেশ করলেন। এরপর চট্টগ্রামে ৪ ডিসেম্বর এবং কক্সবাজারে ৭ ডিসেম্বর সমাবেশ করবেন। সর্বোচ্চ শ্রম এবং উপস্থিতি দিয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে হবে।’

প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, বিএনপি ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করবে। তারা বলছে, লাখ লাখ লোক হবে সমাবেশে। কিন্তু তারা সমাবেশ করতে চায় নয়াপল্টনে। সেখানে লোক ধরবে ৪০ হাজার। তাদের বলা হলো, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে। তারা সেখানে যাবে না। কারণ, এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের কলঙ্কের ইতিহাস রয়েছে। ১৯৭১ সালে বিএনপি–জামায়াতের কলঙ্কের ইতিহাস রচিত হয়েছিল। ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। বিজয়ের মাসে সেখানে গিয়ে আবার কলঙ্কের ইতিহাস তৈরি করতে চায় না তারা।

সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান। এ সময় আরও বক্তব্য দেন যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মঞ্জুর আলম, সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলে নাঈম ও বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী মাজহার, সাইফুর রহমান, মশিউর রহমান, শহীদুল হক প্রমুখ।