খালেদা জিয়াকে কারাগারে ‘পয়জনিং’ করা হয়েছিল, অভিযোগ মির্জা আব্বাসের

মির্জা আব্বাস
ফাইল ছবি

কারাগারে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘পয়জনিং’ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শ্রমিক দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এ দাবি করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি খুব নিশ্চিত করে বলতে চাই, বহু আগে চার বছর আগে আমি শুনেছিলাম, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে এমনভাবে পয়জনিং করা হয়েছে যে উনি দুবছর বাঁচবেন। এবং ওনার শরীরের সমস্ত খবরাখবর আমার প্রতিবেশী দেশের কাছে আছে। প্রতিটি এক্স-রে, প্রতিটি...যা যা করেছে, সবকিছু ওখানে আছে। ওরা জানে কখন কী হবে।’

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘তার পরেও আল্লাহর রহমতে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এখনো প্রায় পাঁচ বছর বেঁচে আছেন। উনি বেঁচে আছেন ঠিক, কিন্তু উনি আমাদের মাঝে নেই।’
বিদেশিদের পরামর্শে খালেদা জিয়াকে বন্দী করার অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আজকে যদি খালেদা জিয়া থাকতেন, তাহলে আজকে দেশের এই অবস্থা এমন হতো না। এই দেশ বহু আগেই হায়েনার কাছ থেকে মুক্তি পেত। সেটা আঁচ করতে পেরেই খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে। তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে বিদেশিদের পরামর্শমতো।’

মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়া কোনো অপরাধ না করেই আজকে জেলে আছেন। অথচ অপরাধ করেও আওয়ামী লীগের মহীউদ্দীন খান আলমগীর, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, হাজি সেলিম বাইরে। নিয়ম কিংবা আইন শুধু বিএনপির জন্য। আর অনিয়ম আওয়ামী লীগের জন্য। এ অন্যায়ের বেড়াজাল অবশ্যই ভেঙে তছনছ হবে।

তবে মির্জা আব্বাস স্বীকার করে বলেন, ‘আমার নেত্রী অসুস্থ। তাঁকে আমরা আন্দোলন করে জেল থেকে আনতে পারছি না। এটা আমাদের ব্যর্থতা। আমরা পারছি না, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। আমাদের মনে রাখতে হবে, এটা (চলমান আন্দোলন) শুধু খালেদা জিয়ার মুক্তি নয়, সারা দেশের মানুষের মুক্তি, সারা দেশে মানুষের সার্বভৌমত্বের মুক্তি, দেশে মানুষের ভোটাধিকারের মুক্তি।’

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মিলাদ মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।