ভোটার উপস্থিতি ৫ শতাংশের বেশি হয়নি: মির্জা ফখরুল

দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত ছয়টি আসনের উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৫ শতাংশের বেশি হয়নি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন। ৪ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রঘোষিত বিভাগীয় সমাবেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার প্রস্তুতি নিয়ে এ যৌথসভা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) তথাকথিত নির্বাচন কমিশন যে উপনির্বাচন অনুষ্ঠান করল, এই উপনির্বাচনগুলোতে ভোটারের সংখ্যা কোথাও তাদের (ইসি) হিসাব মতো ১৫ থেকে ২৫ শতাংশের বেশি হয় নাই। আর আমাদের হিসাব মতে, এটা ৫ শতাংশের বেশি হয় নাই।’

গত ১১ ডিসেম্বর বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ৩, ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও ৬ আসন শূন্য হয়। বুধবার আসনগুলোতে উপনির্বাচন হয়।

সম্প্রতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব ২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবেকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু জাপানকে কেন, আমরা তো চিঠি দিয়েছি বহু দেশকে। আওয়ামী লীগ সরকার যে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, মানুষের ওপর অন্যায়-অত্যাচার করে, দুর্নীতি-লুটপাটের মধ্য দিয়ে দেশকে ধ্বংস করছে; তারা যে রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যা করছে; গুম করছে; প্রতি মুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে—এই বিষয়গুলো তো অবশ্যই আমরা সারা পৃথিবীকে জানিয়েছি।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘তাঁরা সমানে মিথ্যাচার করছেন, সংসদে করছেন, বিদেশিদের সামনে করছেন। সব সময় বলছেন, এখানে নাকি কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি। বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, সেটার নজির খুব আছে। আমরা জানতাম না এনফোর্স ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স কাকে বলে? আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে আমরা এটা জানতে পারছি।’

দুর্নীতির কারণেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘যেখানে দুর্নীতি লাগামহীন, যেখানে চুরি হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য, সেখানে বিশ্ব মন্দার কথা বলে কোনো লাভ নেই। দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতিটি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যুতের দাম ১৫ বার বাড়িয়েছেন। কিন্তু বিদ্যু-গ্যাসে যে চুরি আপনারা করছেন, সেই চুরি বন্ধ করলে তো গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হয় না।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও আহমেদ আজম খান কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আবদুস সালাম আজাদ, মহানগর বিএনপির রফিকুল আলম, আমিনুল হক, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, যুবদলের মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলে এস এম জিলানি, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম প্রমুখ।