গঠনতন্ত্রই নেই, কীভাবে বহিষ্কার করে: মাহবুব উদ্দিন

মাহবুব উদ্দিন খোকনফাইল ছবি

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন (খোকন) বলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের গঠনতন্ত্র নেই। যে পর্যন্ত গঠনতন্ত্র না হবে, সে পর্যন্ত কাউকে বহিষ্কার করা যাবে না। যত বহিষ্কার করা হয়েছে, তা আইনত কার্যকর নয়। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে আজ সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব উদ্দিন এসব কথা বলেন।

বিএনপির আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতির পদ থেকে মাহবুব উদ্দিনকে গতকাল অব্যাহতি দেওয়া হয়। কারণ হিসেবে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের কথা বলা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এবারের নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) মনোনীত প্রার্থী হয়ে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেন মাহবুব উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান আমাদের (সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি) মনোনয়ন দিয়েছেন, ভোট করতে বলেছেন। ভোট করেছি, জিতেছি। তারেক রহমান বলেননি যে “আপনারা ভোট গণনায় যাবেন না, আপনারা চেয়ারে বসবেন না।” এমন কোনো বক্তব্য উনি কখনো বলেননি।’

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামাল। তিনি বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদকও। কায়সার কামালের ভূমিকার সমালোচনা করে সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামকে পরিবর্তন করে সে (কায়সার কামাল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম করে। ফোরামের তো গঠনতন্ত্রই নেই। সে (কায়সার কামাল) কীভাবে বহিষ্কার করে? তার ক্ষমতা আছে বহিষ্কার করার? যে পর্যন্ত গঠনতন্ত্র না হবে, সে পর্যন্ত কাউকে বহিষ্কার করা যাবে না। যত বহিষ্কার করা হয়েছে, তা আইনত কার্যকর নয়।’

আরও পড়ুন

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন বলেন, ‘আমি বিএনপি করি ১৮–১৯ বছর বয়স থেকে। বিএনপি করছি, বিএনপি করব। জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপিতে আমি অতীতেও ছিলাম, বর্তমানেও আছি, ভবিষ্যতেও থাকব।’ এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে কায়সার কামালের ভূমিকা তদন্ত করার জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।