ফাঁকা মাঠে তাফালিং করবেন না, বিএনপিকে ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি কয় দিন মাঠে থাকবে তা দেখবেন। তিনি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা ফাঁকা মাঠে তাফালিং করবেন আর আওয়ামী লীগ আঙুল চুষবে—এটা মনে করবেন না। কিছু লোক নামিয়েছেন, কয় দিন তারা থাকে, দেখব।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর লালবাগে থানা ও চারটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির নেতারা বলেছেন, তাঁরা এখন থেকে রাজপথ দখল করবেন। রাজপথ বিএনপির বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়। রাজপথ জনগণের। রাজপথ এই নগরীর। রাজপথ ঢাকাবাসীর।
আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণকে নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা সংযমী হয়ে, সতর্ক অবস্থানে মাঠে অবস্থান নেবে। মাঠ ছাড়বে না, অবস্থান নিতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে বলেন, ‘রাজপথে আন্দোলন করুন, শান্তিপূর্ণভাবে আসুন। মোকাবিলা হবে রাজপথে। রাজপথে খেলা হবে। লাফালাফি করবেন না, বাড়াবাড়ি করবেন না। ২২ দলীয় জোট গতবারও ছিল। সেই ২২ দলের অবস্থা জগাখিচুড়ি, ছত্রভঙ্গ অবস্থা। এবারও ২২ দলীয় জোটের অবস্থান আষাঢ়ের তর্জন-গর্জন।’
দলীয় নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘আজকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে, ক্যাম্পাসে যারা বিশৃঙ্খলা করবে, ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় ক্ষতি করবে, যারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করবে, শেখ হাসিনা তাদের রেহাই দেবেন না।’
দলের নেতা–কর্মীদের সতর্ক করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারাও বাড়াবাড়ি করবেন না। নির্বাচনের ১৪ মাস বাকি। আপনারা এখন স্লোগান, পাল্টা স্লোগান শুরু করেছেন। শোডাউন দিয়ে কেউ এমপি হতে পারবেন না। কেউ নেতা হতে পারবেন না। শেখ হাসিনার কাছে সবার হিসাব-নিকাশ জমা আছে। ওই এলাকার জনগণের কাছে যে জনপ্রিয় সে–ই হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। পাল্টাপাল্টি করে কেউ কাউকে ঠেকাবেন—এটা হবে না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নৌকার স্লোগান দেওয়ার সময় আসবে। তখন আমি নিজেই বের হব স্লোগান নিয়ে। গতবারও দিয়েছিলাম, এবারও বের হব। আগাম কিছু বলবেন না।’
ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে সেখানে দলের নেতাকর্মীদের দুই পক্ষ হট্টগোল করে।
লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।