ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশ না করলে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও

গণসংহতি আন্দোলন মিছিল নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকে যেতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছবি: সংগৃহীত

আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশ না করলে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক–সংলগ্ন সড়কে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এর আগে দলটি একটি মিছিল নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকে যেতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে আজ দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছেই পদচারী–সেতুর নিচে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন।

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ চায় বাংলাদেশের ব্যাংক ও ব্যাংকের সম্পদ সুরক্ষিত থাকুক। দেশের সব সম্পদ দখল হয়ে যাচ্ছে, সেটা দেশবাসীকে পরিষ্কার করে জানাতে আজ আমাদের এই বিক্ষোভ। ব্যাংক লোপাটকারীদের নাম দেশের জনগণকে জানাতে হবে। যদি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে এখানে আরও বড় আকারে বিক্ষোভ হবে।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, খেলাপি ঋণের অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা বলা হলেও সেটা ৪ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ঋণখেলাপিদের ঋণ ফেরত দেওয়ার চাপ না দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের নির্দেশে নাকি ঋণ মাফ করে দেয়। আসলে এরা নানা রকম ফন্দিফিকির করে ঋণ মওকুফ করে দেয়। জনগণের কাছে এগুলোর কোনো পরিসংখ্যান নেই।

পুলিশের বাধার মুখে দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে
ছবি: সংগৃহীত

জনগণের সঞ্চিত টাকা কতিপয় ‘চিহ্নিত’ লুটেরা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলে জোনায়েদ সাকি বলেন, অন্যদিকে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করে দিয়ে নতুন ব্যাংক লোপাটের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। দুর্বল ব্যাংকের লোপাটকারী পরিচালকদের শাস্তি তো হয়নি; বরং তারা সবল ব্যাংকের পরিচালক হচ্ছেন। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সবকিছুর হিসাব আছে, লুটপাটের পরিমাণেরও হিসাব আছে, আমরা সব ঋণখেলাপির হিসাব চাই।’

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য হাসান মারুফ, তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাস নাইন, দীপক রায়, তরিকুল সুজন; কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলিফ দেওয়ান, অঞ্জন দাস, মিজানুর রহমান মোল্লা; ঢাকা দক্ষিণের সদস্যসচিব সেলিমুজ্জামান প্রমুখ।