বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটার প্রতিবাদ জানাল সিপিবি
বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে সম্পাদিত লালদিয়া-পানগাঁও টার্মিনাল ইজারা চুক্তি বাতিল এবং নিউমুরিং ও পতেঙ্গা টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। পাশাপাশি দলটি অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–বিষয়ক বিশেষ সহকারীকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সিপিবি এক বিবৃতিতে এসব কথা জানায়। বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনকে রাজপথে ফেলে নির্মমভাবে পেটানো হয়। পুলিশের বর্বর নির্যাতনে সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রমিকনেতা কাজী রুহুল আমিনের মাথা ফেটে যায়। এ সময় অর্ধশতাধিক নেতা–কর্মী আহত হন। বিনা উসকানিতে সিপিবি সাধারণ সম্পাদককে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে আজ পুলিশ যে বর্বরতা চালিয়েছে, তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং এ ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত বলেই মনে হয়েছে।
দাবির পক্ষে বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা, বাংলাদেশ জাসদ ও জাতীয় গণফ্রন্টের যৌথ উদ্যোগে আজ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করা হয়। সমাবেশ শেষে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে পল্টন হয়ে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে মিছিলটি কাকরাইল মোড়ে পৌঁছায়। পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করে।
সিপিবির বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সরকার শেখ হাসিনার অনুসৃত পথে জাতীয় সম্পদ বহুজাতিক কোম্পানির হাতে হস্তান্তর করছে শুধু নয়, এসব অপকর্মের প্রতিবাদকারী সম্মুখ যোদ্ধাদের চিহ্নিত করে ফ্যাসিবাদী কায়দায় নিপীড়ন-নির্যাতন করা হচ্ছে।