বিএনপির বন্দীদের তালিকা চাইলেন ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরফাইল ছবি

বিএনপির ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর নামে সরকার মামলা দিয়েছে বলে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা চ্যালেঞ্জ করে সেই তালিকা চেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘৬০ লাখ লোকের তালিকা চাই। ছিল ২০ হাজার, এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কী করে? ৬০ লাখ বন্দীর তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করুক। না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুল ইসলামকে ক্ষমা চাইতে হবে।’

আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

গত শুক্রবার ঠাকুরগাঁওয়ে এক দলীয় কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘আমাদের ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে। ৭০০-৮০০ নেতা-কর্মীকে গুম করে দেওয়া হয়েছে। অক্টোবরে আন্দোলনের পরে ২৭ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ এর তিন দিন পর আজ সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ঈদ ও বাংলা নববর্ষের ছুটির পর আওয়ামী লীগের পক্ষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপির জন্ম, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায়। ’৭১-এ তাদের যে ভূমিকা, হঠাৎ করে বাঁশিতে ফুঁ দিলে অমনিই তিনি ঘোষক হয়ে গেলেন। ২৪ বছরের যে আন্দোলন, এসবের কোনো দাম নেই?’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ দিবস, দিনটিকে তারা (বিএনপি) অস্বীকার করে। ১০ এপ্রিল প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন হয়, সেটা অস্বীকার করে। স্বাধিকার আন্দোলনের মাইলফলক ৭ জুন অস্বীকার করে। বিএনপির কাছ থেকে বাঙালি সংস্কৃতির চেতনা নিয়ে ইতিবাচক রাজনীতি করবে, এটা আমি বিশ্বাস করি না।’

দেশে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বলেছি, বিএনপি অপপ্রচার করছে। তারা তাদের বিদেশি মিত্রদের সঙ্গে সলাপরামর্শ করে বলছে, এই সরকার ক্ষমতায় বসলেও দুর্ভিক্ষে সরকারের পতন হবে। সেটা তো হয়নি।’

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। শান্তি চাই।’

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে রমজানে সরকারের বেশ কিছু কার্যক্রম চলমান ছিল। তা অব্যাহত থাকবে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, যত দিন জনগণের প্রয়োজন থাকবে, তত দিন জনস্বার্থে এই প্রোগ্রাম থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।