বিএনপিকে মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করার সুযোগ দেবে না জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, এ দেশের জনগণ বিএনপি ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি করার সুযোগ আর দেবে না। এ দেশে গাড়ি ও মানুষ পুড়িয়ে জনগণের সম্পদ নষ্ট করে অপরাজনীতি করাও আর সম্ভবপর হবে না।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় তথ্যমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী এলাকায় (চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও বোয়ালখালী অংশিক) স্থানীয় সরকারের সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। জনগণ কাদের সঙ্গে আছে, তা পরখ করে দেখুন। ইনশা আল্লাহ আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এ দেশের মানুষ আবারও ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পরপর চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবে। দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় এবং পত্রিকার পাতায় দেখতে পাই, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা সরকারকে আর এক দিনও সময় দেবে না। এভাবে সময় না দেওয়ার মধ্যে আল্লাহর রহমতে সাড়ে ১৪ বছর আমরা ক্ষমতায় আছি। তারা যতই সময় দেবে না বলে, ততই জনগণ আমাদের সময় বাড়িয়ে দেয়।’
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা হলেন সরকারের উন্নয়নের চিত্র জনগণের কাছে পৌঁছানোর আসল মাইক। মানুষ আপনাদের কথা শুনে, আপনাদের কথা বিশ্বাস করে। মানুষের কাছে সরকারের বার্তা পৌঁছানোর জন্য আপনারা সেতুবন্ধন রচনা করেন। তাই সাধারণ জনগণের মধ্যে আজকে যে দেশটি পরিবর্তন হয়ে গেছে, এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, স্থানীয় সরকারকে জননেত্রী শেখ হাসিনা শক্তিশালী করেছেন বলেই চেয়ারম্যান-মেম্বাররা শক্তিশালী হয়েছেন। গ্রাম আদালতও এখন কার্যকর। গ্রাম আদালত এখন আইন দ্বারা বিধিবদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান, এ রকম আগে ছিল না।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে ও উত্তর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কাশেম চিশতি, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ আলী শাহ, ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, মোকারম হোসেন, মহিলা ইউপি সদস্য জেরিন আকতার, ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ প্রমুখ।