ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে কেউ ক্ষমতা স্থায়ী করতে পারেনি

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুক্রবার বিকেলে এক সমাবেশের আয়োজন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট
ছবি: সংগৃহীত

দেশে দুঃশাসন চলছে। দেশের মানুষ একদিকে অর্থনৈতিক সংকটে, অন্যদিকে রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে কেউ ক্ষমতা স্থায়ী করতে পারেনি।

আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশের বড় ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এই ব্যবসায়ীদের রক্ষায় সব করছে দলটি। অথচ দেশের মানুষ একদিকে অর্থনৈতিকভাবে সংকটে আছে, অপর দিকে রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।

বর্তমান সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে কেউ ক্ষমতা স্থায়ী করতে পারেনি। এবার ভোটে নির্বাচন কমিশন, আমলাসহ নানা মহলকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকার অপচেষ্টা রুখে দেবে জনগণ।

মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা
ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতা দীর্ঘায়িত হলে দুঃশাসনের মাত্রা বাড়বে মন্তব্য করে রুহিন হোসেন বলেন, সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে মানুষের জীবন সংকটাপন্ন করে তুলেছে। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

দেশে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন চলছে মন্তব্য করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ বলেন, এই সরকারের আমলে অর্থনীতিতে লুটপাট চরম রূপ নিয়েছে। আওয়ামী লীগের বড় থেকে ছোট—সর্বস্তরের নেতারা ঠিকাদারি, দখল–বাণিজ্য, চাকরি–বাণিজ্য, বদলি–বাণিজ্য, নদী- খাল, বন, পাহাড় দখলের মধ্য দিয়ে টাকার পাহাড় বানিয়েছেন। ব্যাংকঋণের নামে হরিলুট চলছে। দেশ থেকে টাকা পাচার বাড়ছে।

বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন কায়েম করা হয়েছে। আমলা–পুলিশি রাষ্ট্র বানিয়ে বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে রক্ষা পাওয়া যাবে না।

এ সময় শাসকদের লুটপাট, টাকা পাচার ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের অতিলোভে দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমজীবী মানুষের জীবন দিশাহারা বলে মন্তব্য করেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শহিদুল ইসলাম।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সহসাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ।