বিএনপির রাজনীতি এখন রাতে বিভিন্ন দূতাবাসে যাওয়া: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি এখন মাঠে রাজনীতি করে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, দলটির রাজনীতি এখন রাতের বেলা বিভিন্ন দূতাবাসে যাওয়া, আর লাল–নীল রঙিন পানি খাওয়া।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। দিনটিকে স্মরণ করে এ সভার আয়োজন করে স্বপ্ন ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ, জনগণের জন্য রাজনীতি করেন। জনগণের কাছে যান। রাত–বিরাতে এদিক–সেদিক গিয়ে কোনো লাভ হবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এগুলো করে কোনো লাভ হয়নি। এবারও কোনো লাভ হবে না। দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে এবারও ধস নামানো বিজয় হবে।’
দেশের অর্থনীতি মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। অনেক দেশের অর্থনীতি এখন ঋণখেলাপির পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। কানাডাভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বিভিন্ন তথ্য–উপাত্ত নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন ভালনারেবল (ঝুঁকিতে থাকা) কান্ট্রিগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে আর্জেন্টিনা, তুরস্ক, মরক্কো, মিশর, পাকিস্তানসহ অনেক দেশের নাম আছে। কিন্তু বাংলাদেশের নাম নেই।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে। ২০০৬ সালে বিএনপির আমলে বাংলাদেশের রিভার্জ ছিল সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালে রিভার্ভ ছিল পাঁচ–ছয় বিলিয়ন ডলার। সেই রিজার্ভকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। এখনো ৪০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আছে, যা দিয়ে ৬ মাস আমদানি করা সম্ভব। আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন পৃথিবীর ৪১তম।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ওরা (বিএনপি) এখন আল্লাহর কাছে দোয়া করছে, বাংলাদেশটা কেন শ্রীলঙ্কা হচ্ছে না। দেশের কোনো মঙ্গল চায় না বিএনপি। বিদেশিরা আমাদের ব্যাপারে নাক গলাতে চায় না। কিন্তু বিএনপি তাদের নাকটা নিয়ে ওদের কাছে যায়, নাক কাটানোর জন্য। তাদের নাক কাটিয়ে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করার জন্য।’
দুর্নীতি, অন্যায়, অনাচারকে দূর করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হলেও তারা সেটি না করে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলে প্রতিবাদ করার কারণেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। এর অনেক পরে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। দলের নেতা–কর্মীদের ঐক্যের কারণেই শেখ হাসিনাকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল।
স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।