সংবিধান অনুযায়ীই জাতীয় নির্বাচন হবে: তথ্যমন্ত্রী

সংবিধান অনুযায়ীই দেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি যতই রূপরেখা দিক না কেন, সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। আজ তথ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বর্তমান সরকারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে। তারা (বিএনপি) যত ধরনের রূপরেখাই দিক না কেন, সংবিধানের একচুলও ব্যত্যয় হবে না।

ঈদের পর বিএনপির এক দফা আন্দোলন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এক দফার আন্দোলন বিএনপি ২০১৩ সাল থেকেই শুরু করেছে। সেই আন্দোলনের নামে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে দেশের মানুষ তাদের নৈরাজ্য দেখেছে। মানুষকে পুড়িয়ে মারার মহোৎসব আমরা দেখেছি। সেই পরিস্থিতি আমরা সামাল দিয়েছি। এখন বিএনপি কতটুকু কী করতে পারে, সেটা নিয়ে আমাদের ধারণা আছে।’

খালেদা জিয়া এখন ‘খাঁচায় বন্দী বাঘ’ আর তাদের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ‘দেশান্তরী পলাতক আসামি’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিবসহ তাদের অন্যান্য নেতৃত্ব কতটুকু কী করতে পারে, সে ক্ষেত্রে কী করতে হবে—সেটা আমাদের জানা আছে। তাদের শক্তি-সামর্থ্য সম্পর্কে আমরা জানি। তাদের এসব কথা বাগাড়ম্বর ছাড়া অন্য কিছু নয়।’

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও কয়েকজন অর্থনীতিবিদের কিছু মন্তব্যের সূত্র ধরে বিএনপির সমালোচনার জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘উনি যেসব সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের রেফারেন্স দিয়ে কথা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তারা কোনো দিন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো দেখেনি। কিন্তু তাদের এই ভালো না দেখার মধ্যেও আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে ২ হাজার ৮০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। দারিদ্র্যর হার ৪১ থেকে ১৮ শতাংশে নেমেছে। দেশ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ে উন্নীত হয়েছে, এখন জিডিপিতে বিশ্বের ৩৫তম ও পিপিপিতে ৩১তম; শিগগিরই ২৭তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হবে। বিএনপি এগুলো কোনো দিন দেখেনি।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের অর্থনীতি নানাভাবে চাপে ছিল। আমাদের অর্থনীতি সেটি কাটিয়ে উঠে ঘুরে দাঁড়িয়ে এখন আরও শক্তিশালী হচ্ছে যেমন আমাদের রিজার্ভ কমে ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল। সেটি এখন বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। এত কিছুর মধ্যেও গত বছর আমাদের রপ্তানি আয় ছিল ৫৮ বিলিয়ন ডলার, যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় অনেক বেশি। সুতরাং আমাদের অর্থনীতি অনেক ভালো আছে। কিন্তু মির্জা ফখরুল সাহেবরা কামনা করেন, অর্থনীতি খারাপ হোক। সে জন্য তাঁরা এসব কথা বলেন।’