চট্টগ্রামে বিএনপির এক সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। কাজীর দেউড়ির নাসিমন ভবন, ১৯ মে
ছবি: জুয়েল শীল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বর্তমান সরকার আবার গায়েবি মামলা দেওয়া শুরু করেছে। বিএনপির নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ির নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে এ কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাজই হচ্ছে গণতন্ত্রকে হত্যা করা। আর বিএনপির কাজ হচ্ছে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আজ সারা দেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়। নিজের ভোট নিজে দিতে চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। চট্টগ্রামে কিছুদিন আগে একটি উপনির্বাচন হয়েছে। সে উপনির্বাচনে সরকারের নেতা ও মন্ত্রীদের এত প্রচারের পরও ভোট দিয়েছে শতকরা মাত্র ১৪ ভাগ মানুষ। এটা লজ্জার বিষয়।’

সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, ‘এখন আওয়ামী লীগের কথা বললে জনগণ ছি ছি করে। আওয়ামী লীগ জনগণের দল নয়। জনগণ অচিরেই গণ–অভ্যুত্থানের ডাক দেবে। সেদিন আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। পালানোর জন্য তাদের রাস্তা ফ্রি করে দিতে হবে।’

নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

এদিকে সমাবেশে যোগ দিতে আজ দুপুরের পর থেকে নগর ও জেলা বিএনপির নেতা–কর্মীরা নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। কার্যালয়ের সামনে নুর আহমদ সড়কে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। মঞ্চের আশপাশে নেতা–কর্মীরা অবস্থান নেন। তাঁদের অবস্থান কাজীর দেউড়ি পর্যন্ত যায়। ফলে দুপুরের পর থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কাজীর দেউড়ি মোড় দিয়ে লাভ লেনের দিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

নগর মহিলা দলের দুই পক্ষের হাতাহাতি

আজকের সমাবেশ চলাকালে নগর মহিলা দলের দুই পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। একে অপরকে জুতাও ছুড়ে মারে। প্রায় ২ মিনিট পর নগর বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। নগর মহিলা দলের কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষ বিরোধে জড়িয়ে পড়ে।

জানতে চাইলে নগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম প্রথম আলোকে বলেন, দুই পক্ষ মিনিটখানেক হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

গত ৩০ মার্চ মনোয়ারা বেগমকে সভাপতি ও জেলি চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম নগর মহিলা দলের ১৩৬ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ এ কমিটির অনুমোদন দেন। এরপর কমিটির অপর একটি অংশ পদত্যাগ করে।