বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি মানুষের জীবনকে আরও কঠিন করবে: বাম গণতান্ত্রিক জোট

বাম গণতান্ত্রিক জোট

বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেছেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ‘অত্যাচারে’ সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও কঠিন করে তুলবে।

আজ শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেনের (প্রিন্স) সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবদুস সাত্তার, বাসদের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী ও সিপিবির কোষাধ্যক্ষ ফজলুর রহমান।

সভায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়লে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। এর দায়ও জনগণের কাঁধে চাপানো হবে। সরকারকে এই পথ থেকে সরে এসে বিদ্যুতের মূল্য কমানোর পথ বের করতে ও গণশুনানির আয়োজনের আহ্বান জানান তাঁরা।

জোটের নেতারা অভিযোগ করেন, অপ্রয়োজনীয় ও অপরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে তা জনগণের কাঁধে চাপানোর অপচেষ্টা হচ্ছে। সরকারের এই ভুল নীতি ও দুর্নীতির দায় সাধারণ জনগণ নেবে না। উল্টো ভুল নীতি ও দুর্নীতির জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়াই প্রধান কাজ।

সভায় নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, সরকার মুখে দাম কমানোর কথা বললেও যেসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী এই মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম হোতা, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দক্ষ, দুর্নীতিমুক্তভাবে বিকল্প বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলা, সর্বজনীন রেশনের ব্যবস্থা ও সারা দেশে ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু ছাড়া এই সংকটের সমাধান করা যাবে না। অথচ সরকার সে পথে হাঁটছে না।

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারার প্রতিবাদে ও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে আগামী ১ মার্চ দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি পালন করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।