কুকি-চিনের ঘটনাকে ইস্যু তৈরির চেষ্টায় সফল হবে না বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরফাইল ছবি

বান্দরবানে কুকি-চিনের সশস্ত্র তৎপরতাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সরকার এ নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক এবং শক্ত অবস্থান নিয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বান্দরবানের ঘটনা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওই এলাকা ঘুরে এসেছেন। যৌথ অভিযান চলছে। বিএনপি ব্যর্থতা ঢাকতে ইস্যু খোঁজে। মিয়ানমার ইস্যুতে ব্যর্থ হয়ে এখন কুকি–চিন ইস্যু ধরেছে। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর দ্বারা গোটা পাহাড়ের সার্বিক শান্তি পরিস্থিতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না। কাজেই এটিকে নতুন ইস্যু বানানোর চেষ্টাতেও ব্যর্থ হবে বিএনপি।

বিএনপির আন্দোলন করার সামর্থ্য নেই দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শক্তি–সামর্থ্য সবই তারা হারিয়ে ফেলেছে। নেতা-কর্মীরা দলটির নেতৃত্বের ওপর হতাশ। তারেক রহমানের ওপর হতাশ।

তাদের নেতা দেশে নেই, রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলন হবে? এটা কি সম্ভব! আন্দোলন করতে হলে রাজপথে এসে করতে হবে। রিমোট কন্ট্রোলের ডাকে জনগণ সাড়া দেবে না।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থার জন্য বিএনপিই দায়ী বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তাঁর মত হচ্ছে, একটা রাজনৈতিক দল, যারা তাঁকে দেশনেত্রী বলে, তাঁর মুক্তির জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কি আন্দোলন করেছেন? ৫০০ লোকের একটা মিছিলও করতে পারেননি। আইনি লড়াইয়ে আদালত উপেক্ষা করে বারবার সময়ক্ষেপণ করেছেন। এটা না করলে বিষয়টা অনেক আগেই সমাধান হয়ে যেত। বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ; খালেদা জিয়ার আইনি লড়াইয়েও ব্যর্থ। তাদের এখন চোখের পানি, কান্না, দীর্ঘশ্বাস—এগুলোই সম্বল।

আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় নিকটাত্মীয়দের মনোনয়ন দেওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন উন্মুক্ত মানে উন্মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন করার ইচ্ছা–বাসনা অনেকেরই থাকতে পারে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, এমপি সাহেবরা বা মন্ত্রী মহোদয়রা কোথাও কোনো প্রভাব বিস্তার করবেন না। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেউ যেন হস্তক্ষেপ করতে না পারে। আর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর কেউ দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আওয়ামী লীগের আগাম কাউন্সিল হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ সম্মেলন করবে। এটা বিএনপি নয়। সময়মতো আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে, আগাম নয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।