রাজপথে অতন্দ্র প্রহরায় থাকবে যুব মহিলা লীগ: তথ্যমন্ত্রী

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শহীদ শেখ রাসেল দিবস এবং ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে যুব মহিলা লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যাতে রাজপথ দখল করতে না পারে সেজন্য যুব মহিলা লীগকে অতন্দ্র প্রহরায় থাকতে হবে।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শহীদ শেখ রাসেল দিবস এবং ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে যুব মহিলা লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

শহীদ শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ইতিহাস স্মরণ করে বলেন, ‘১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। যে খুনের মাধ্যমে তাদের উত্থান, সেই খুনের রাজনীতি তারা এখনও অব্যাহত রেখেছে। সন্ত্রাস ও মানুষের রক্তের ওপর তাদের রাজনীতি।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৪ সালে এইখানে, এই বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে খালেদা জিয়ার সরকারের পৃষ্ঠাপোষকতায় তারেক রহমানের পরিচালনায় বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুঁড়ে তারা জননেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতা-কর্মী নিহত, ৫০০ জন আহত হয়েছিল। ওই হামলায় তাঁর নিজের শরীরে এখনো ৪০টি স্প্লিন্টার রয়েছে।

ফিলিস্তিন পরিস্থিতি নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে হাসপাতালেও হামলা হয়েছে। সেখানে চার হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে শতশত শিশু রয়েছে। তাদেরকে কবর দেওয়ার জায়গা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে একদিনের শোক ঘোষণা করেছেন, শেখ রাসেল দিবসেও এই বর্বরতার প্রতিবাদ করেছেন। সমস্ত পৃথিবী প্রতিবাদ করেছে, ফ্রান্স থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও সেই হামলার প্রতিবাদ হয়েছে। শুধু বিএনপি এবং তার মিত্র জামায়াত নিশ্চুপ।

একটি বৃহৎ শক্তি নাখোশ হতে পারে বলে নীরব থেকে বিএনপি কার্যত এই বর্বরতা, এই শিশুহত্যার পক্ষ অবলম্বন করেছে, ইসরায়েলের পক্ষ অবলম্বন করেছে বলে মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।

যুব মহিলা লীগ সভাপতি আলেয়া সারোয়ারের (ডেইজি) সভাপতিত্বে সভায় আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি প্রমুখ।

বক্তৃতাপর্ব শেষে মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের হাতে মেধাবৃত্তি সনদ তুলে দেন এবং ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে যুব মহিলা লীগের মিছিলে অংশ নেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তথ্যমন্ত্রী

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যোগ দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।

জাতীয় প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ সংস্থার বর্তমান ও সাবেক নেতা ও সদস্যদের নিয়ে কেক কেটে মন্ত্রী দিবসটি উদযাপনে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় প্রেসক্লাবের ৩১তলা বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কমপ্লেক্সের ভিত্তিফলক উন্মোচনের কথা স্মরণ করে তথ্যমন্ত্রী জাতীয় প্রেসক্লাবের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের লক্ষ্য দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করার সাথে সাথে একটি মানবিক কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা। সাংবাদিকরা রাষ্ট্র ও সমাজকে পথ দেখাতে পারে, মানুষের তৃতীয় নয়ন উন্মোচন করতে পারে। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে, মানবিক কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অতীব গুরুত্বপূর্ণ।’