বিএনপি নাশকতার পরিকল্পনা করছে: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরফাইল ছবি

বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে বিএনপি নাশকতার পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এই নাশকতা মোকাবিলায় নেতা–কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নির্বাচন ঘিরে দেশে–বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে হঠাৎ করে মানববন্ধনের কর্মসূচির নামে নাশকতার পরিকল্পনা করছে। এই দেশে নির্বাচনের পক্ষের শক্তি যাঁরা আছেন, তাঁদের অনুরোধ করব, এই নাশকতা, গুপ্ত হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাস প্রতিহত করবেন। আমাদের দলের নেতা–কর্মীদেরও সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। যেন বিএনপি কর্মসূচির নামে কোথাও কোনো নাশকতা করতে না পারে।’

আজ শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

কিছু কিছু বিদেশি চাপ আছে স্বীকার করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। এসব নিয়ে আমরা বিচলিত নই। যেহেতু জাতিসংঘ থেকে কিছু কথা বলা হচ্ছে, জাতিসংঘ তো বিশ্বের সব দেশের। রাজনৈতিক অভিযোগের বিষয়টা তো জাতিসংঘের কাছেই যায়। কিছু কিছু চাপের ব্যাপার নিশ্চয়ই আছে, তা না হলে এত কিছু হলো কেন। বাংলাদেশে গত কয়েক মাস কত রকমের ঘটনা ঘটেছে। এই নিষেধাজ্ঞা আসল...এই নিষেধাজ্ঞা আসল...এসব তো ছিল। এসব বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘকে জানিয়ে রাখলেন, আমরা ভালো নির্বাচন করছি, কোনো অসুবিধা নেই, অহেতুক কেউ যেন আমাদের চাপ না দেয়।’

গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করা হয় বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে মানবাধিকার কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছে। আওয়ামী লীগ মানুষের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জন্মলগ্ন থেকেই মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই অব্যাহত রেখেছে।

আওয়ামী লীগ জনগণের সব ধরনের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ১৩ দেশের ৩৭ ব্যক্তির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা ৭৫তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়। যে অপশক্তি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে বা করার অপচেষ্টা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য অনুযায়ী এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে তারা নিষেধাজ্ঞা দেয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন গণতান্ত্রিক শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো ও এ পথকে মসৃণ করার লক্ষ্যে আমরা বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আমাদের নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। সুতরাং নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিক কোনো কারণ আমরা দেখছি না। বরং নির্বাচনকে যারা বাধাগ্রস্ত করবার জন্য সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে, জ্বালাও-পোড়াও, গুপ্ত হামলা করছে এদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।

আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।