রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে হবে

যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির প্রথম নারী সভাপতি এলিসিয়া কিয়ার্নসের সঙ্গে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের বৈঠক
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির প্রথম নারী সভাপতি এলিসিয়া কিয়ার্নস। একই সঙ্গে তিনি মিয়ানমারের নির্যাতিত লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

লন্ডনে স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সেন্ট্রাল হল ওয়েস্টমিনস্টারে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম এবং প্রেস মিনিস্টার আশেকুন নবী চৌধুরী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তথ্যমন্ত্রী লন্ডনে অনুষ্ঠানরত পার্লামেন্টারি সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স ফোরাম (পিএসআইএফ) সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।

বৈঠকে এলিসিয়া কিয়ার্নস তথ্যমন্ত্রীকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে লাখ লাখ উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন, তা বিশ্ব অঙ্গনে অত্যন্ত প্রশংসিত এবং আমরা মনে করি, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চাপের মাধ্যমে মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করতে আরও কাজ করা প্রয়োজন।’

কংগ্রেসম্যান জেমস হিলের সঙ্গে সাক্ষাৎ

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান জেমস ফ্রেঞ্চ হিলের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ
ছবি: প্রথম আলো

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এদিন পিএসআইএফ সম্মেলনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান জেমস ফ্রেঞ্চ হিলের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন।

এই সাইডলাইন সাক্ষাতে তিনি কংগ্রেসম্যানের কাছে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং মিয়ানমারে তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধিতে সহায়তার আহ্বান জানান। পিএসআইএফ সম্মেলনে যোগদান দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাসের কংগ্রেসম্যান জেমস হিল এ বিষয়ে ভূমিকা রাখবেন বলে জানান।

সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টের অল পার্টি গ্রুপের সভাপতি রুশনারা আলীর সঙ্গে সাক্ষাতে দুই দেশের বাণিজ্য ও বহুমাত্রিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে আলোচনা করেন হাছান মাহমুদ।