প্রভুদের খুশি করার জন্যই ইফতার অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ: রিজভী

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ শনিবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীছবি সংগৃহীত

একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ইফতার অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের হামলার কড়া সমালোচনা করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি অভিযোগ করেন, সরকার ছাত্রলীগকে দিয়ে ইফতার অনুষ্ঠানে আক্রমণ করে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অধিকার হরণ করছে। ক্ষমতা দখলের পৃষ্ঠপোষক প্রভুদের খুশি করার জন্যই সরকার ইফতার অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ূন ইসলামের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধন হয়।

রিজভী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ইফতার পার্টি করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়েছে ইফতার করা যাবে না। কেন করা যাবে না, সে প্রশ্ন তুলে রিজভী বলেন,‘আপনারা যে যুগ যুগ ধরে করে আসছেন, হঠাৎ এটা মনে পড়ল যে ইফতার অনুষ্ঠান করা যাবে না।’ তিনি আরও বলেন, শুধু এটা করেই তারা থেমে থাকেনি, তারপরে ছাত্রলীগকে দিয়ে ইফতার অনুষ্ঠানে আক্রমণ করাচ্ছে। এটা সিয়াম সাধনার মাস, একটা উৎসবের বিষয়ও আছে। বন্ধুবান্ধব সবাই মিলে ইফতার করতে চায়। এটাও রক্তাক্ত ছাত্রলীগের দ্বারা।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অভিযোগ করেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ এখন দিশাহারা। সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ যে প্রচণ্ডভাবে বাড়ছে, এটা তারা টের পাচ্ছে। এ কারণে ছোট কর্মসূচিতেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব তৈরি করেছে। বিরোধী দলের আন্দোলন-মিছিল দমানোর সরকারি যত সরঞ্জাম আছে, সব নিয়ে হাজির হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

অর্থ পাচারের অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘প্রত্যেকটি জায়গায় সরকারি দলের নেতারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। মন্ত্রীদের ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের বাড়ি-গাড়ি সম্পদ রয়েছে।’ তিনি এ–ও বলেন, ‘ওয়ার্ড পর্যায়ের একজন নেতা এখন শতকোটি টাকার মালিক। জেলা ছাত্রলীগের নেতারাও দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে, যা আমরা গণমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি।’

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সরকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।