আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনার সুযোগ তৈরিকে স্বাগত জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন
আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনার সুযোগ তৈরির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। আজ রোববার গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তাঁদের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ১৫ বছর ধরে গুম-খুন-হত্যা, জনগণের কণ্ঠরোধ, ভোটাধিকার হরণ, দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচারসহ নানা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সর্বশেষ ২০২৪–এর জুলাই–আগস্টে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। এসব অপরাধের জন্য শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বিচারের পাশাপাশি দল হিসেবেও আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা জরুরি ছিল। কেননা, বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ঠিক হবে।
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা।
এর আগে গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এ ছাড়া আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী আনা হয়েছে, যাতে ট্রাইব্যুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, এর অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।