আগামী বছরের মধ্যে ১৯৭৪-র মতো দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে: জাফরুল্লাহ চৌধুরী

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেয় রাষ্ট্রচিন্তা, গণসংহতি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও ছাত্র-যুব-শ্রমিক অধিকার পরিষদ। জাতীয় প্রেসক্লাব, ঢাকা, ১ মার্চ
ছবি: দীপু মালাকার

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা চিকিৎসক জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন,  বিদেশি চক্রান্ত, সরকারের ভুল নীতি, মানবাধিকার লুণ্ঠন, সুশাসনের অভাবে আগামী বছরের মধ্যে ১৯৭৪ সালের মতো দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে।  প্রায় সাড়ে ৭ মিলিয়ন টন খাদ্যাভাব দেখা দিতে পারে।

ভাসানী অনুসারী পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, ছাত্র-যুব-শ্রমিক অধিকার পরিষদ ও রাষ্ট্রচিন্তার যৌথ আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানোর অনুষ্ঠানে জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এ অনুষ্ঠান হয়।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘দেশ সম্পূর্ণ ভুল পথে চলছে। জাতিসংঘের একটি সনদ পেতে যাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধের যে তিন প্রতিশ্রুতি তার বিপরীতে পুঁজিবাদের দিকে এগোচ্ছি।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যে সংগ্রাম ও আত্মদানের মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, তা আজও পূর্ণতা লাভ করেনি। তিনি জাতি ও কারাগারে মারা যাওয়া লেখক মুশতাক আহমেদের কাছে ক্ষমা চান। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেওয়ার পাশাপাশি সবাইকে মিলে অসম্পূর্ণ মুক্তিযুদ্ধকে সম্পূর্ণ করতে হবে। এক ব্যক্তি বাংলাদেশে একা স্বাধীনতা আনেননি। সবাই মিলিতভাবে স্বাধীনতা এনেছেন।  

আজকের অনুষ্ঠানে ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানানো হয়। এ সময় একজন মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা গ্রহণের জন্য স্টেজে ওঠার ডাক পেলে তিনি মাইক্রোফোনে অভিযোগ করেন, ‘যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সে স্লোগান একবারও উচ্চারণ হয়নি এবং যাঁর ডাকে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেই বঙ্গবন্ধুর নামও একবার নেওয়া হয়নি।’ তিনি এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সম্মাননা বর্জন করেন । এ সময় অনুষ্ঠানে আসা অন্যরা হইহই করে তাঁর কথার প্রতিবাদ জানান। তিনি এরপর অনুষ্ঠান ত্যাগ করে চলে যান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক, রাষ্ট্রচিন্তার হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।