আগে জীবন পরে জীবিকা: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

ঈদে ঘরমুখী মানুষের উদ্দেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ঝুঁকি নিলে উৎসবের আগেই মৃত্যুর ট্র্যাজেডি অনিবার্য হয়ে পড়ে। কাজেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করবেন না। উৎসব-আনন্দের কী দাম আছে যদি জীবন থেকেই দূরে সরে যেতে হয়। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক উৎসব-আনন্দ করা যাবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে, আগে জীবন পরে জীবিকা।

সারা দেশে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রচারের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, লকডাউনে অনেকেই চোরাই পথে আসা-যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন। সম্প্রতি পদ্মায় স্পিডবোট ডুবিতে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। সরকারকে ফাঁকি দেওয়া যায়, কিন্তু মৃত্যুকে ফাঁকি দেওয়া যায় না।

আজ বুধবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ ও অসহায়-দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্যসহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্যোগ দুর্বিপাকে বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়িয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন ’৭৫-পরবর্তীতে কোনো সরকারপ্রধান বা রাজনৈতিক নেতা এমন নজির স্থাপন করতে পারেনি।

আরও পড়ুন

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘একটা দল সরকারের বিরুদ্ধে গলাবাজি করছে। তাদের আর কোনো কাজ নেই। করোনার এই দুঃসময়ে তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, এমন একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেনি, কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তা করে দেখিয়েছে।’

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সহসভাপতি নুরুল আমিন রুহুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।