আমাকে এত পছন্দ করেছে, আমি অভিভূত: নবনির্বাচিত মেয়র

নবনির্বাচিত মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী
ফাইল ছবি

কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোট ‘সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে’ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে করেন নবনির্বাচিত মেয়র নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী।  

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন–উত্তর তাঁর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল এ কথা বলেন। নবনির্বাচিত মেয়র বলেন, ‘মানুষ আমাকে এত পছন্দ করেছে, আমি অভিভূত। মানুষ ভালোবেসেছে, মর্যাদা–সম্মান দিয়েছে। কথা দিতে পারি, সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

বহদ্দারহাটের নিজ বাড়ির কার্যালয়ে বসে রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এ সময় সিটি করপোরেশন পরিচালনা নিয়ে তিনি তাঁর কিছু পরিকল্পনা তুলে ধরেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখা, মশার উপদ্রব কমানো এবং বেহাল সড়ক মেরামতকে প্রাথমিক লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন রেজাউল। প্রথম ১০০ দিনে এসব বিষয় প্রাধান্য পাবে।

রেজাউল বলেন, ‘দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছি। তা বিবেচনায় নিয়ে দলীয় সভানেত্রী মনোনয়ন দিয়েছেন। এ বিজয় আমার নয়, এ বিজয় চট্টগ্রামবাসীর। এ বিজয় বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতীক নৌকার।’

সবার সঙ্গে পরামর্শ করে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে রেজাউল বলেন, ‘নগরবাসীকে কথা দিতে পারি প্রতিশ্রুতি পূরণের কঠোর পরিশ্রম করব। স্পষ্ট বলতে চাই, অন্যায় অনৈতিক কাজে কখনো ক্ষমতাকে ব্যবহার করব না। সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব।’

কোনো লোভ, অনৈতিকতা তাঁকে এক ইঞ্চিও বিচ্যুতি ঘটাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন নির্বাচিত মেয়র।

মাত্র সাড়ে ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে নির্বাচনে। এ বিষয়ে রেজাউল বলেন, কাল কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু, সুন্দর পরিবেশ বজায় ছিল। কর্মজীবী মানুষ ভোটের চেয়ে কাজকে প্রাধান্য দেন। সরকারি ছুটি না থাকায় কিছু সমস্যা হয়েছে।

এমন কোনো দেশ নেই যেখানে ১০০ বা ৯০ শতাংশ ভোট পড়ে। গণতন্ত্রে যাঁরাই ভোটে অংশ নেন, তাঁদের মধ্যে যিনি বেশি ভোট পাবেন, তিনি বিজয়ী হবেন।

রেজাউল বলেন, ‘হোল্ডিং ট্যাক্স, জলাবদ্ধতা, গ্যাস-পানিসংকটসহ আঞ্চলিক দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন আমি আন্দোলন–সংগ্রাম করেছি। চাক্তাই খাল সংগ্রাম কমিটির আমি চেয়ারম্যান ছিলাম। এর মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছি।’

সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনের বিষয়ে রেজাউল বলেন, সমন্বয়ের অভাব আছে। সুন্দর রাস্তা করার দুমাসের মধ্যে কোনো সংস্থা আবার কাটে। উন্নয়নের জন্য কাটতে হবে। কিন্তু কেন সরকারি টাকার অপচয় হবে?

ওয়ার্ডভিত্তিক সমস্যা নিরসনে স্থানীয় মহল্লার প্রতিনিধি, সব শ্রেণি–পেশার সাধারণ মানুষ এবং কাউন্সিলরদের মতামত ও পরামর্শ নিয়ে বাস্তবায়নযোগ্য সমাধান করবেন বলেও জানান নবনির্বাচিত এই মেয়র।

নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে রেজাউলের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপি প্রার্থী শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন ছিল নির্যাতন ও ভোট ডাকাতির মহোৎসব। যদি কেউ এটাকে সুষ্ঠু ও সুন্দর বলে তাহলে তাঁকে মানসিক রোগী ছাড়া কিছু বলার নেই।