আরও পাঁচ বছর লুটপাটের ব্যবস্থা দীর্ঘায়িত হলো: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট আরও দীর্ঘায়িত করতেই ‘কুইক রেন্টাল’ বিদ্যুৎকেন্দ্র আরও পাঁচ বছর রাখার বিল সংসদে পাস করা হয়েছে। রোববার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

গত বুধবার জাতীয় সংসদে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০২১’ পাস হয়। বিষয়টি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, নতুন করে পাঁচ বছর এই বিশেষ আইনের মেয়াদ বাড়িয়ে লুটপাটের ব্যবস্থা দীর্ঘায়িত করা হলো। গতকাল অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় সংসদে এই বিল পাসের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয় এবং অবিলম্বে বিল বাতিলের আহ্বান জানানো হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বৈধতা দিতে ২০১০ সালে আইনটি প্রণয়ন করা হয়। দুই বছরের জন্য এই আইন করা হলেও পরে কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো স্থাপন করা হয়েছিল শুধু ‘আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর লুণ্ঠনের স্বার্থে’। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সব কর্মকাণ্ডের দায়মুক্তির আইন পাস করে যথেচ্ছ দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছিল। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও ভাড়া দেওয়ার ফলে জনগণের ট্যাক্সের টাকার বিশাল অংশ ‘আওয়ামী দুর্নীতিবাজদের’ পকেটে গেছে। প্রতিবছর কয়েক দফা করে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের চরম আর্থিক লোকসান করা হয়েছে।

দলের প্রতিষ্ঠাতা ‘মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক’ জিয়াউর রহমান ও তাঁর সমাধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বিভিন্ন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যে ‘অবৈধ মিথ্যা তথ্য’ সংসদে উপস্থাপন করে তিনি (শেখ হাসিনা) মূলত জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের দৃষ্টি আড়ালে রাখার একটি ‘ষড়যন্ত্র’ করছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে, ইতিহাস বিকৃত করে জনগণকে প্রতারিত করা হচ্ছে। শহীদ জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে এ ধরনের বিকৃত অপপ্রচার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়।’

ব্যক্তিগত তথ্য আইনের খসড়া সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশে উদ্বেগ প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, এ ধরনের আইন ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার কথা বলে নাগরিকের স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার হরণ করার একটি চক্রান্ত। এটা গণতন্ত্রের জন্য একটি বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলবেরও নিন্দা জানান বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি যে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দমন করার জন্য এটা আরেকটা কৌশল তারা (সরকার) নিয়েছে।’
নিউইয়র্কে বিএনপির সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা

ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন যে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের সেখানে যাঁরা বিএনপি সমর্থন করেন, তাঁদের ওপর একটা আক্রমণ হয়েছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা। আজ আমি প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’